পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩১৬
বাগেশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী

(৩) “তোমরা চমসকে চতুধর্ণ করিয়াছিলে এবং বলিয়াছিলে, হে সখা অগ্নি, 'অনুগ্রহ কর। হে রাজগণ ! হে ঋভুগণ তোমরা কুশলহস্ত, তোমর। অমরত্বপথে গমন কর।” (৪) “যাহাকে কৌশলপূর্বক চারিটা করা হইয়াছিল সেই চমস না জানি কি প্রকারেরই ছিল ? তোমরা হর্ষের জন্য সোম অভিষব কর, হে ঋভুগণ তোমরা মধুর সোমরস পান কর।” & 載牌 載牌 辭 呜 (৮) “তোমরা স্বকম দ্বারা দেবত হইয়াছিলে, হে বলের পুত্ৰগণ । তোমরা শুেনের হ্যায় হলোকে নিষ্ণ আছ, তোমরা ধন দান কর, হে সুধম্বার পুত্ৰগণ ! তোমরা অমর হইয়াছ । (৯) হে মুহস্ত ঋভুগণ ! যেহেতু তোমরা রমণীয় সোমদানযুক্ত তৃতীয় সবনকে সুকমেছে। প্রযুক্ত প্রসাধিত করিয়াছ, অতএব তোমরা হৃষ্ট ইন্দ্রিয়ের সহিত অভিযুত সোম পান কর।” (বামদেব ঋষি ) ঋভুগণকে বলা হয়েছে—মুন্দরান্তঃকরণ—“হে সুন্দরান্তঃকরণ ঋভুগণ ” ঋভুগণ কিছু নকল করেন না তাও বলা হয়েছে—“তোমরা মানসিক ধ্যান দ্বারা স্ববৃত ও অকুটিলগামী রথ নিমর্পণ করিয়াছিলে ।” ঋভুগণকে বলা হয়েছে রূপদক্ষ—“তোমর শ্রেষ্ঠ ও দর্শনীয় রূপ ধারণ করিয়াছ।...তোমরা ধীমান, কবি ও জ্ঞানবান, আমরা তোমাদিগকে এই স্তোত্র দ্বারা আবেদন করিতেছি ।” এক আকারের হাত কি চামচ ছাঁচে ঢালাই হয়ে চারখানা কেন দু’শোখানা হাতা ও চামচ হচ্ছে এখন—এতে আমরা অবাক হইনে, কিন্তু শিল্পের যখন সূত্রপাত হচ্ছে ভারতবর্ষে তখনকার দিনের মানুষ কি বিস্ময়ের চোখেই দেখছে এই সমস্ত কারিগরদের ব্যাপার এবং কি সম্মানই বা দিচ্ছে তাদের, তা বেশ বোঝা যায় উপরের মন্ত্রগুলি থেকে। ঋষির বল্লেন, মানুষের রচনা সমস্ত দেবতার রচনার কনিষ্ঠ— “দেবশিল্পানাম্ অনুকৃতিঃ” । দেবতার কার্যের সতত সহায় হ’ল শিল্পিগণ এই পর্যন্ত পাওয়া গেল বৈদিক যুগের সে হিসেব নিলেম তা থেকে। নিমর্পণের কৌশলকে ও সমস্ত রূপ দেবার চেষ্টাকে অস্তে আস্তে পাচ্ছে মানুষ। মানুষ তপস্যা করছে উৎকৃষ্ট জ্ঞান পাবার জন্য, মানুষ তপস্যা করছে সুন্দর সমস্ত