পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপ రిసె পেচার রূপ ব্যাঙের রূপ সুন্দর হ’ল মনোমত হ’ল সুন্দর তাকে ব্যঙ্গ করলে না একজনও । ५_। একটা ক্যামের সে রূপকে ধরে নেয় ঠিক কিন্তু রূপস্থষ্টির নিয়ম সে মানে না, পদার্থবিদ্যার জল বাতাস আলো ছায়ার অকাট্য নিয়ম মানে । তবুও সে কি ঠিক উট-পেচাটাই ঠিক ভাবে দেয় ?—সৃষ্ট রূপের একটা একটা অপদার্থ নকল দেয় মাত্র। নিয়তির নিয়মে সৃষ্টির কিছুতে পুনরুক্তি হ’তে পারে না , কিন্তু কল সে বিজ্ঞানসম্মত নিয়মে এক জিনিসের হাজার হাজার পুনরুক্তি করে চলেছে সুতরাং এ হিসেবে সে নিয়ম লঙ্ঘন করছে কিন্তু স্বতন্ত্র কোনো এমন একটা নিয়ম নেই তার যার দ্বারা রূপস্থষ্টি করতে পারছে সে। নিয়তিকৃত নিয়ম থেকে স্বতন্ত্র অথচ নিয়তির নিয়ম থেকেই নেওয়া সমস্ত রূপকারের কারিগরির নিয়ম ৷ পাষাণ তার একটা আকৃতি আছে বর্ণও আছে কাঠিন্য ইত্যাদি গুণও আছে কিন্তু চেতনা নেই, সুতরাং তার সুখ দুঃখ মান অভিমান কিছুই নেই—এই হ’ল নিয়তির নিয়মে গড়া সে পাষাণ, কিন্তু রূপদক্ষের কাছে পাষাণী অহল্যা নিয়তিকৃত নিয়মের থেকে স্বতন্ত্র নিয়মে যখন রূপ পেলে তখনো সে পাষাণ কিন্তু তার সুখ দুঃখ মান অভিমান জীবন মৃত্যু সবই আছে। যে মাটির খেলনা গড়লে সে মাটিকে জড়তা থেকে মুক্তি দিয়ে মানুষের খেলার সার্থীরূপে ছেড়ে দিলে । পাষাণে গাথা গোসাঘর তার মধ্যে ধরা রূপবান রূপবতী, হাতুড়ির ঘায়ে তবে ভাঙে সে গোসাঘরের দেওয়াল, তারপর পাথরের মান ভাঙাতে অসাধ্য সাধন। মাটির দেওয়াল, তার মধ্যে লুকিয়ে আছে রূপ ; সেও অভিমানে জলাঞ্জলি দিয়ে সহজে কি বেরিয়ে এল ? সোনা সে কি কম জ্বালালে আর্টিষ্টকে ? হীরক যাকে বল বজ্রমণি সে বজের মতো তুর্জয়, তাকে মানিয়ে তবে দিতে হ'ল হীরের ফুল ফুটিয়ে । বিধাতার নিয়মে বাধা রূপজগৎ তার মধ্যেই আর একটা জগৎ যেটা আপনার নিয়মে চলেছে অথচ সেটা সত্যকার রূপজগৎ—বিশ্বামিত্রের ব্যাসকাশীর মতো ভূয়ো জগৎ নয়, সেখানে সত্য রূপ সমস্ত বিধাতার নিয়মকে কোথাও মেনে কোথাও বা আর্টের নিয়মকে ধরে স্বষ্টি হচ্ছে । যেমন এই গাছ একে দিলেন নিয়ন্ত এক রূপ, যেমন সেই গাছ তাকে দিলে কারিগর টেবিল O. P. 14–42