পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
খেলার পুতুল

একদঙ্গল ছেলেমেয়ে ই করে চেয়ে আছে—আর খাচায় ধরা কালে বাঘ মস্ত একটা কাঠের বারকোস নিয়ে খেলছে। এক ছেলে বলে—ও ভাই বেরাল দেখ !" - সিংহের খাচী—সেখানে পশুরাজ, র্তাকে দেখে’ বলে আর এক ছেলে—সিংহীর মামা ভোম্বল দাস, বাঘ মেরেছে গণ্ড। দশ । - অীর এক ছেলে—সে সবে কপচাতে শিখেছে—সমুদ্রতীরে প্রাতঃসূর্যকে দেখে বল্পে, চাদটা কি লাল দেখ । পশুরাজ সেখানে বেরাল সেজে খেলতে আসে, উদয়াচলের সূর্য আসেন তেজ, লুকিয়ে ছদ্মবেশে রঙ মেখে মন ভোলাতে ; নির্ভয় খেলার জগৎ—সেখানে ভয় দিতে এল না বাঘ কিন্তু খেলে’ যেতে এল, অন্ধকার এল সেখানে লুকোচুরি খেলার রহস্যময় রূপ ধরে খেলতে, ভয় পাওয়াতে নয়, আলো এল কিন্তু স্বপন ভাঙাতে নয়—ঝিলিমিলি রূপ রঙ নিয়ে নতুন নতুন স্বপ্নের জালে ঘিরে দিতে দিগ্‌বিদিক । সেখানে কি ঘরের কোণে কি বাইরে বনের তলায়, কিবা আকাশে মেঘের ফাকে, নদীজলে ঢেউয়ের দোলায়, সব জায়গাতেই খেলাঘরটি রইলো পাতা সকল সময়ে। পড়া সেখানে খেলা—পাখী পড়ে ঝুটি ঝাড়ে মাথা নাড়ে। কাষ সেখানে খেলা— ‘আয়রে ছেলের পাল মাছ ধরতে যাই, দোলায় আছে ছ’পোণ কড়ি গুণতে গুণতে যাই।” লড়াই সেখানে খেল,— ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার, তালপাতার সেপাই নিয়ে যুদ্ধে আগুসার । ংসার সেখানে খেলা, মরণ র্বাচন সেও এক খেলা । ভাবনা-শূন্ত জীবনের একটি একটি কণা,—সব খেলুড়ি তার, লঘুভার প্রজাপতির সমান উড়তে উড়তে খেলতে খেলতে হঠাৎ