পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খেলার পুতুল ©8S কাছে আসতে, কিন্তু ডাকলে আসে না কাছে পাখী, আতা গাছের তোতা পাখী সে-—আগ ডালে উড়ে বসে, আতাপাতার নেীকে বাতাসে ভাসানোর খেলা জুড়ে দেয় এক একাই। দড়ি-ছেড়া রামছাগল— বাকী দুটো শিং যেন হিটিমাটিম্টিম—আতাপাতার গন্ধে গন্ধে পায়ে পায়ে এগোয় সে, দাড়ি নেড়ে বলে—খোকা দেখবে মজা ? এক গরাসে গোটা পাচ পাতার নেীকো খেয়ে খোকার দিকে চায় ছাগল—ন্যেকরে কাদে খোক, ট্যে করে টিয়ে তাকে ভেংচায়, ন্যান্য বলে ছাগল ভোলায় খোকাকে। ஆ হুকো হাতে তৃামাকখেগো বুড়োর বসে’ বসে গল্পই করে, পাড়েজী পড়েন সুর করে’ গীতার মাথামুণ্ডু ব্যাখ্যা, আহ্নাদী পিসি তাই শুনে হেসে যেন ফুটিফাটা হ’য়ে যান। আতাতলার নাটশালার ধারে গোয়াল-পোর গাই বাছুর, খোক। চলে সে দিকে, কুয়োতলার কুণো বেরাল এটোকাটা খেয়ে গোফ মুছে চায় টিয়েপাখীর দিকে। খোকা ডাকে—আয় মেনিপুস্। ওদিকে টিয়ে ওড়ে ফুস । খেলার বেলা শেষ হ’য়ে আসে, তিন পহরের রোদ ছায়ার কাছেই মাদুর বেছায়, খেলা ভুলে খোকা শুয়ে পড়ে রোদের কোলে মাথা রেখে, চেয়ে থাকে নীল আকাশে, তালগাছের শিয়রে, বাবুইয়ের বাসার দিকে । দূরে ডাকে পুতুলওয়ালা—খেলনা চাই চুড়ি চাই। খুকি বার হ’ল পরণে ডুরে সাড়ি খোপায় ফুল—যেন চলে পুতুলটি। খেলতে জানে সে পুতুল খেলা, চেনে তাকে পুতুল-ওয়ালা । খোকাতে খুকিতে চলে হাটে রাসের মেলায় খেলনা কিনতে । )ே দূর দেশের খেলন—মাটির খেলন, সোলার খেলনা। কেউ এল খোকার হাতে হাতে, কেউ এল খুকির কোলে কোলে, কেউ বা এল সার্থীদের ঝুড়ি চেপে , খেলাঘরে বাসা নিলে অবেলার সব অতিথি তারা—মেলার ফেরৎ নতুন সাজ সবার। সকালের সেই পলাতক টিয়ে তিনি পরেছেন কমলাফুলির ওড়না, বাঘা মামা হয়েছেন নামাবলী তিলক ছাপা বোষ্টম, ঘোড়া হয়েছেন পক্ষিরাজ, হাতী সেজেছেন ব্যাঙ, ব্যাঙ সেজেছেন হাতী, সাপ হয়েছেন ময়ুর, ময়ুর হয়েছেন সর্প, কুমীর হয়েছেন নৌকা, নৌকা হয়েছেন কুমীর ; তার মধ্যে জলজীয়ন্ত বেরাল