পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাবণ্য ೨b”} ক্ষুরধার নানা লাবণ্য দিয়ে পাঠাচ্ছেন শিল্পী। জয়দেবের কোমলকাস্ত পদাবলীটাই কেবলি বাজছে না বিশ্ববীণাতে, সেখানে জীবন-মরণ হাসিকায় আলো-অন্ধকার সবই বাজছে এক সঙ্গে মুরে বেস্বরে চমৎকার, এবং সমস্ত ব্যাপারটি দেখি একটি লাবণ্যের পরিপূর্ণতার ঘেরে ধরা পড়ে যাচ্ছে,—একেই আর্টের ভাষায় বলা হয় Unity । লাবণ্যের ঘেরের মধ্যে বিচিত্র রূপ প্রমাণ ভাব ভঙ্গি সবই একটি অপূর্ব একতা পাচ্ছে কি না এইটেই লক্ষ্য করবার বিষয় ছবিতে মৃতিতে . হাড়ে-মাসে ख्डिँउ निदा লাবণ্যযুক্ত শরীর—তার স্থানে আছে আর্ট, কিন্তু শুধু মাস শুধু হাড় বা কঙ্কাল রূপস্থষ্টির বেল্লাতে আদেয়। পৃথক ভাষটা ঘুচিয়ে না দিলে কিছু কিছু লবণ সংযোগ না ক’রে উপায় নেই। পাখীর পালকে প্রজাপতির ডানাতে কিংখাব মখমলের কাপড়ে যে লাবণ্য তা শুধু কোমল স্বর দিয়ে তৈরি হয় না—শক্ত সোনার তার, শক্ত কাটা, তাস, বিচিত্র বিভিন্ন রকমের কত কী দিয়ে এই লবণ্যের সৃষ্টি করে আর্টিষ্ট তবে চোখে লাগে মনে ধরে রচনাটি । লাবণ্য-যোজনের কৌশল শেখা বিদ্যের বাইরের জিনিষ, শিল্প-বিদ্যাপীঠে পাচ টাকা মাইনে দিয়ে ডিগ্ৰী নিয়ে সেটা দখল করা যায় না। ওটি আপনাতে রইলো তো ফুটলো, আপনার কাজে লাগলো ছোয়াচ ওর, তবে সুন্দর হ’ল নিজের ঘরের সাজ ও বাইরের সজ্জা ।