পাতা:বাঙ্গলার পরিচিত পাখী.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

পাখীর কথা

 এই পুস্তকে কয়েকটি মাত্র পাখীর বর্ণনা সন্নিবেশিত হইল। অবিভক্ত ভারতবর্ষে প্রায় ১২০০ রকমের পাখী আছে। আমাদের ভূতপূর্ব্ব শাসকরা আমাদের অন্য কোনও উপকার না করিলেও আমাদের দেশের অনেক প্রকার তথ্য সংগ্রহ করিয়া সাজাইয়া রাখিয়া গিয়াছেন। তন্মধ্যে এ দেশের পাখীর বংশপরিচয় একটি। ভারত গভর্ণমেণ্টের অর্থানুকূল্যে এদেশের বিবিধ জীবজন্তু ও উদ্ভিদাদির বিশদ বর্ণনা, শ্রেণীবিভাগ প্রভৃতি মুদ্রিত হইয়াছে। “ফণা অফ বৃটিশ ইণ্ডিয়া, বার্ডস” প্রথমে ব্ল্যানফোর্ড এবং ওট্‌স্‌ এই দুই মনীষী কর্ত্তৃক সম্পাদিত হইয়া বাহির হয়। তারপর গত প্রথম মহাযুদ্ধের পর এই সুবৃহৎ গ্রন্থগুলির দ্বিতীয় সংস্করণ ষ্টুয়ার্ট বেকারের সম্পাদনায় বাহির হয়। প্রথম সংস্করণের শ্রেণীবিভাগের অনেক পরিবর্ত্তন ষ্টুয়ার্ট বেকার করেন।

 ইহা ছাড়া বহু ইংরাজ লেখক এদেশের পাখী সম্বন্ধে গবেষণামূলক বহু পুস্তক লিখিয়া গিয়াছেন। অনেকে আবার অবৈজ্ঞানিক সাধারণ পাঠকের জন্য প্রাঞ্জল ভাষায় পাখীদের জীবনকাহিনী লিখিয়া গিয়াছেন। বাংলা ভাষায় বিশ্বভারতীর শিক্ষক জগদানন্দ রায় মহাশয় “বাংলার পাখী” নামে একটি পুস্তিকা ছেলেদের পাঠ্য হিসাবে মুদ্রিত করেন। বড় ও ছোট সকলের পাঠযোগ্য পুস্তক পাখী সম্বন্ধে আর কেহ রচনা করেন নাই।

 আজ আমাদের দেশ স্বাধীন হইয়াছে এবং এ দেশের ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত করিতে হইবে। ইউরোপীয় জাতিদের অপরিসীম হিংসাত্মক ও লোভী মনোবৃত্তি