পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

 অনীয়।—অনীয় প্রত্যয় করিলে ধাতুর অন্ত্য স্বর ও উপান্তিম হ্রস্ব স্বরের গুণ হয়। যথা; ভুজ্-অনীয়, ভেজনীয়, যাহা ভোজন করা যাইবে বা ভোজন করিবার যোগ্য। এই রূপ; বৃ-অনীয়, বরণীয়; শোধ-অনীয়, শোধনীয়, শুচ্-অনীয়, শোচনীয়; লঙ্ঘ-অনীয়, লঙ্ঘনীয়, মান্-অনীয়; মাননীয়; দৃশ্-অনীয়, দর্শনীয় ইত্যাদি।

 য।—য প্রত্যয় করিলে ধাতুর অন্তস্থিত ছ ও জ্ স্থানে যথাক্রমে ক ও গ হয়। যথা; পাক্য;[১] রোগ্য ইত্যাদি।

 য প্রত্যয় করিলে অন্তিম ও উপান্তিম[২]


  1. পদ সমূহ এই অর্থে বাক্য, পারগতা অর্থে যোগ্য এবং ভোগার্থে ভোগ্য এই পদই ব্যবহৃত হয়। অন্যত্র বাচ্য, ভোজ্য, যোগ্য। আর আবশ্যক অর্থে এবং ত্যজ, যজ ও প্র-বচ ধাতুর চ জ স্থানে ক গ হয় না। যথা; পাচ্য, ভ্যাজ্য, যাজ্য ইত্যাদি। কিন্তু ভজ ধাতুর জ স্থানে বিকল্পে গ হয়।
  2. উপন্তিম ই উ দীঘ হইলে গুণ হয় না। গুহ, দুহ, বৃষ ও মৃজ ধাতুর বিকল্পে গুণ হয়। যথা; গুহ্য, গোহ্য; দুহ্য, দোহ্য ইত্যাদি। আর উকারান্ত ধাতুর আবশ্যক অর্থ বুঝাইলে বৃদ্ধি হইয়া থাকে। যথা: শ্রাব্য, ভাব্য ইত্যাদি}}।