পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ
১৮৯

গন্ধে অন্ধ হইয়া গুন্ গুন্ ধ্বনি করত ইতস্ততঃ সঞ্চরণ করিতেছে; প্রফুল্ল কমল সমূহের সৌরভে চতুর্দ্দিক্ আমোদিত হইতেছে” ইত্যাদি।

 বাক্যের অর্থ তিন প্রকার। যথা; শক্যার্থ, লক্ষ্যার্থ, ও ব্যঙ্গ্যার্থ।

 শক্যার্থ।—যে পদ প্রয়োগ করিলে যে অর্থের প্রতীতি হয়, তাহাতেই সেই পদের শক্তি। ঐ শক্তিমূলক অর্থকে শক্যার্থ বলে। যথা; “লেখনী” এই পদ প্রয়োগ করিলে কলমকে বুঝায়, সুতরাং লেখনী পদের শক্যার্থ কলম।

 লক্ষ্যার্থ।—যে পদে যে অর্থ প্রতীতি হয়, তাৎপর্য্য সিদ্ধি হয় না বলিয়া তাহা পরিত্যাগ পূর্ব্বক যদি তৎ সন্নিহিত কোন পদার্থ গ্রহণ করা যায়, তবে তাহাকে লক্ষণা কহে। লক্ষণামূলক অর্থকে লক্ষ্যার্থ কহে। যথা; “দুর্ভিক্ষে উড়িষ্যা উচ্ছিন্ন হইয়াছে” এখানে উড়িষ্যা দেশের উচ্ছেদ অসঙ্গত বলিয়া লক্ষ্যার্থ দ্বারা উড়িষ্যাবাসী লোককে বুঝাইল।