পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

প্রকার। যথা; শৃঙ্গার (আদি), বীর, করুণ, অদ্ভুত, হাস্য, ভয়ানক, বীভৎস, রৌদ্র ও শান্ত।

 আদিরস।—নায়ক নায়িকার অনুরাগ বিষয়ক ভাবকে আদিরস বলে। আদিরস দ্বিবিধ; সম্ভোগ ও বিপ্রলম্ভ। নায়ক নায়িকার পরস্পর সম্মিলন স্থলে সম্ভোগ এবং পূর্ব্বরাগ মান প্রবাসাদি স্থলে বিপ্রলম্ভ ঘটিয়া থাকে। ক্রমশঃ উদাহরণ। সম্ভোগ যথা; “নারীর পরশ পেয়ে নিদ্রা হৈল ভঙ্গ। সিহরিল কলেবর মাতিল অনঙ্গ”॥ বিপ্রলম্ভ যথা; “কিবা রূপ কিবা গুণ কহিলেক ভাট। খুলিল মনের দ্বার না লাগে কপাট॥” ইত্যাদি।

 বীররস।—দয়া ধর্ম্ম দান ও সংগ্রামাদিতে উৎসাহ বিষয়ক ভাবের নাম বীররস। যথা; “তোরে রাজা বধে যদি, রুধিরে বহাব নদী, বীরসিংহে সবংশে বধিয়া। তোরে পুনঃ বাঁচাইয়া, বিদ্যা দিব রাজ্য দিয়া, ভয় কিরে বিদ্যা-বিনোদিয়া।”

 করুণরস।—ইষ্টনাশে বা অপ্রিয় সমাগমে যে শোক সঞ্চার হয়, তাহার নাম করুণরস। যথা; “হৃদয়বৃন্তে ফুটে যে কুসুম, তাহারে