পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৮
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

উহাতে সমাসের বাহুল্যও দৃষ্ট হয়। যথা; “লটাপট জটাজূট সংঘট্ট গঙ্গা। ছলচ্ছল টলট্টল কলক্কল তরঙ্গ” ইত্যাদি।

 প্রসাদ।—যে গুণ থাকিলে প্রবণ মাত্র অর্থগ্রহ হয়, তাহার নাম প্রসাদ গুণ। প্রসাদগুণ সমস্ত রসে ও রচনায় প্রশস্ত। প্রসাদ গুণে সুকুমার সরল বর্ণ ও প্রাঞ্জল পদ বিন্যাস করা আবশ্যক। যথা; “মন দিয়া কর সবে বিদ্যা উপার্জ্জন। সকল ধনের সার বিদ্যা মহাধন। এই ধন কেহ নাহি নিতে পারে কেড়ে। যতই করিবে দান তত যাবে বেড়ে।”


অলঙ্কার।

 যেমন ভূষণ দ্বারা শরীর সুশোভিত হয়, যেমনি তানুপ্রাস উপমাদি দ্বারা বাক্যও সুসজ্জিত হইয়া থাকে। এই নিমিত্ত উহাদিগকে অলঙ্কার কহে। সকল বাক্যেই অলঙ্কার থাকে না। বঙ্গভাষায় কতকগুলি মাত্র অলঙ্গার প্রচলিত আছে। তাহারই প্রধান প্রধান:ওলির বিবরণ করিতেছি।