পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

১৯৯

 অলঙ্কার দ্বিবিধ। শব্দালঙ্কার ও অর্থলঙ্কার। যদ্দ্বারা শব্দের শোভা সম্পাদন করে, তাহার নাম শব্দালঙ্কার আর যাহা দ্বারা অর্থের শোভা সম্পাদন করে, তাহার নাম অর্থালঙ্কার।);

শব্দালঙ্কার।

 অনুপ্রাস।—বর্ণের সমতার নাম অনুপ্রাস অলঙ্কার। যথা; “তারিণি তাপহারিণি। তার তার তারা প্রদানে পদতরণি। তপন তনয় তাপে তাপিত তনয়তনু ত্রাস নাশ তারা ত্রিবিধ তাপবারিণি”। ইত্যাদি।

 যমক।—ভিন্নার্থবাচক একাকার পদ একত্র বিন্যস্ত হইলে যমক অলঙ্কার বলে। স্থান বিশেষে বিন্যাস বশতঃ আদ্য যমক, মধ্য যমক ও অন্ত্য যমক প্রভৃতি হইয়া থাকে। যথা; “দুর্লভ চন্দন চুয়া লঙ্গ জায়ফল। সুলভ দেখিনু হাটে নাহি যায় ফল” ইত্যাদি।

 শ্লেষালঙ্কার।—একত্র যুগপৎ একশব্দ দ্বারা ভিন্নার্থ প্রতিপাদনের নাম শ্মেষোলঙ্কার। যথা; “ধনী আমি কেবল নিদানে। বিদ্যা যে প্রকার বৈদ্যনাথ আমার বিশেষ গুণ সে জানে। অহে, ব্রজাঙ্গনা কর কি কৌতুক?