পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।

কাব্যলিঙ্গ অলঙ্কার হয়। যথা; “তোমার যৌবন আছে তুমি আছ সুয়া। হারায়ে যৌবন আমি হইয়াছি দুয়া”।

 অপহ্নুতি—প্রকৃত বিষয় নিষিদ্ধ করিয়া অন্য প্রকার আরোপ করাকে অপহ্নুতি বলে। যথা; শশী নহে, দেখ ঐ জ্বলন্ত অনল। কলঙ্ক ও নহে, ধূম বিস্তৃত কেবল।

 ব্যাজস্তুতি—যেখানে নিন্দাচ্ছলে স্তব বা স্তবচ্ছলে নিন্দা করা হয়, তাহাকে ব্যাজস্তুতি বলে। যথা: “সভাজন শুন, জামাতার গুণ, বয়সে বাপার বড়। কোন গুণ নাই, যথা তথা ঠাঁই, সিদ্ধিতে নিপুণ দড়।” ইত্যাদি।

 সমাসোক্তি।—প্রকৃত বিষয়ে, কার্য্য, লিঙ্গ বা বিশেষণের সমতা জন্য কোন অপ্রকৃত ব্যবহার আরোপিত হইলে সমাসোক্তি হয়। যথা; “মধু সম মধুমাসে, তারা তারাগণ পাশে, শশী আসি বসি নিশিযোগে। রজনী সজনি লয়ে, গুরুজন গুরুভয়ে, আইলা কৌতুক সুখ ভোগে। রজনীর করে ধরি, সন্ধ্যা সুসন্ধান করি, চলিগেলা করিয়া মিলন।” ইত্যাদি।

 স্মরণালঙ্কার। সদৃশ বস্তুর দর্শনে যে