পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ - লোহারাম শিরোরত্ন.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গলা ব্যাকরণ।
২১৯

হইতে পারে না, অমিত্রাক্ষর ছন্দের নিয়ম সে রূপ নহে। ইহার অন্বয়ের বিরাম কবির ইচ্ছানুসারে হইয়া থাকে। সুতরাং পূর্ব্বচরণের কোন পদের সহিত অন্বিত পদও পর চরণে বিন্যাস করিবার আপত্তি নাই। ঘথা; “সম্মুখ সমরে পড়ি বীর চুড়ামণি, বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে অকালে”—।

যতি।

 আবৃত্তি কালীন বিশ্রাম স্থানকে যতি বলে। বঙ্গভাষায় কবিরা যতি বিষয়ে কোন নিয়মের অধীন হইয়া চলেন না। অর্থানুসারে যেখানে বিচ্ছেদ হয়, সেই খানেই যতি হইয়া থাকে। বিশেষতঃ অমিত্রাক্ষর ছন্দে অর্থানুসারে যতি কল্পনা নিতান্ত প্রয়োজনীয়। যতি অর্থাৎ বিরাম-বিজ্ঞাপনের নিমিত্ত সম্প্রতি কতকগুলি চিহ্ন ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ঐ চিহ্ন অনুসারে বিরাম ও বিরাম কালাদি নিরূপিত হয়। তাহার বিবরণ নিম্নে লিখিত হইল;—