পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৬
বাঙ্গালার ইতিহাস
৭অ

অন্যথাচরণ করিলে তাঁহাদিগকে কয়েদ করিয়া আদায় করা যাইত। এই পুরাতন নিয়ম তৎকাল পর্যন্তও প্রবলরূপে প্রচলিত ছিল। সুপ্রীমকোর্ট এ বিষয়েও হস্তক্ষেপ করিতে আরম্ভ করিলেন। করদানে অমনোযোগি ব্যক্তিরা এইরূপে কয়েদ হইলে, সকলে তাহাদিগকে সুপ্রীমকোর্টে আপীল করিতে পরামর্শ দিত। তাহারাও আপীল করিবামাত্র জামীন দিয়া খালাস পাইত। জমীদারেরা দেখিলেন সুপ্রীমকোর্টে দরখাস্ত করিলেই আর কয়েদ থাকিতে হয় না, অতএব সকলেই কর দেওয়া রহিত করিলেন। এইরূপে রাজস্ব সংগ্রহ প্রায় এক প্রকার রহিত হইয়া আসিল।

 সুপ্রীমকোর্ট ক্রমে সর্ব্বপ্রকার কর্ম্মেতেই হস্তাৰ্পণ করিতে লাগিলেন। মফঃসলের ভূমিসংক্রান্ত মোকদ্দমাও তথায় উপস্থিত হইতে লাগিল; এবং জজেরাও, জিলা আদালতে কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া, ইচ্ছাক্রমে, ডিক্রী দিতে ও হুকুম জারী করিতে লাগিলেন। পূর্ব্ব ইজারদার অঙ্গীকৃত কর দানে অসম্মত হইলে, তাহার ইজারা বিক্রয় হইত; কিন্তু সে নূতন ইজারদারকে সুপ্রীমকোর্টে আনিয়া তাহার সর্ব্বনাশ করিত। কোন জমীদার একটা বিষয় ক্রয় করিলে, যোত্রহীনেরা সুপ্রীমকোর্টে তাঁহার নামে নালিশ করিত এবং তিনি আইনমতে খাজানা আদায় করিয়াছেন এই অপরাধে দণ্ডনীয় ও অবমানিত হইতেন।

 সুপ্রীমকোর্ট এইরূপে এদেশীয় ফৌজদারী আদালতের উপরেও ক্ষমতা প্রকাশ আরম্ভ করিলেন। গবর্ণ-