পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
বাঙ্গালার ইতিহাস
৭অ

ঘটিয়া উঠিল যে উভয় পক্ষকেই পরস্পর স্পষ্ট বিবাদে প্রবৃত্ত হইতে হইল।

 কাশিমজোড়ার রাজার কলিকাতাস্থ কর্ম্মাধ্যক্ষ কাশীনাথ বাবু, ১৭৭৯ সালের ১৩ই আগষ্ট, রাজার নামে সুপ্রীমকোর্টে এক মোকদ্দমা উপস্থিত করেন। তাহাতে রাজার উপর এক পরোয়ানা বাহির হইল, এবং তিন লক্ষ টাকার জামীন চাহা গেল। সেই পরোয়ানা এড়াইবার নিমিত্ত তিনি পলায়ন করাতে, উহা জারী না হইয়া ফিরিয়া আসিল। তদনন্তর, তাঁহার স্থাবর অস্থাবর সমুদায় বস্তু ক্রোক করিবার নিমিত্ত, আর এক পরোয়ানা বাহির হইল। সরিফ সাহেব,ঐ ব্যাপার সমাধা করিবার নিমিত্ত, এক জন সারজন ও ষাটি জন অস্ত্রধারী পুরুষ প্রেরণ করিলেন।

 রাজা গবর্ণমেণ্টে আবেদন করিলেন যে সুপ্রীমকোর্টের লোকেরা আসিয়া আমার লোক জনকে প্রহার ও আঘাত করিয়াছে, বাটী ভাঙ্গিয়াছে, অন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়াছে, জিনিস পত্র লুঠ করিয়াছে, দেবালয় অপবিত্র করিয়াছে,দেবতার অঙ্গ হইতে আভরণ খুলিয়া লইয়াছে, খাজানা আদায় বন্ধ করিয়াছে এবং রাইয়তদিগকে আর খাজনা দিতে মানা করিয়াছে।

 গবর্ণর জেনেরল বাহাদুর কৌন্সিলের বৈঠকে এই নিৰ্দ্ধার্য্য করিলেন যে অতঃপর সতর্ক হওয়া উচিত; নতুবা এমত সকল বিষয়েও ক্ষান্ত থাকিলে, রাজশাসন একবারে লোপাপত্তি পাইয়া যায়। অনন্তর, রাজাকে সুপ্রীমকোর্টের আজ্ঞা প্রতিপালন করিতে নিষেধ করিয়া,