পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৪
বাঙ্গালার ইতিহাস
৯অ

ঐ আইন রদ করা যায়। লার্ড উইলিয়ম, এই ধর্ম্ম রহিত করিবার বহুবিধ দৃঢ়তর যুক্তি প্রদর্শনপূর্ব্বক, তাঁহাদের প্রর্থনা পত্র অগ্রাহ্য করিলেন। সেই সময়ে স্বারকানাথ ঠাকুর ও কালীনাথ রায় চৌধুরী প্রভৃতি আর কতকগুলি সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালি লার্ড-উইলিয়ম ৰেণ্টিক বাহাদুরকে এক ধন্যবাদ পত্র প্রদান করেন; তাহার মর্ম্ম এই যে আমরা শ্রীযুতের এই দয়ার কার্য্যে অনুগৃহীত হইয়া ধন্যবাদ করিতেছি।

 যাঁহারা সহগমনের পক্ষ ছিলেন তাঁহারা অবিলম্বে কলিকাতায় এক ধর্ম্মসভা স্থাপন, ও চাঁদা করিয়া বিস্তর অর্থ সংগ্রহ, করিলেন; এবং, এই বিধি পুনঃ স্থাপিত হয় এই প্রার্থনায়, ইংলণ্ডেশ্বরের নিকট দরখাস্ত দিবার নিমিত্ত একজন ইঙ্গরেজ উকীলকে ইংলণ্ডে পাঠাইয়া দিলেন। কিন্তু তথাকার রাজমন্ত্রিরা, সহগমনের অনুকুল যুক্তি সকল শ্রবণ করিয়া, পরিশেষে নিবারণ পক্ষই দৃঢ় করিলেন।, এয়োবিংশতি বৎসর অতীত হইল, সহমরণ রহিত হইয়াছে; এই দীর্ঘকাল মধ্যে প্রজাদিগের অসন্তোষের কোন লক্ষণ লক্ষিত হয় নাই। ফলতঃ,এক্ষণে এই নিষ্ঠুর ব্যবহার প্রায় সকলে বিস্মৃত হইয়াছেন। যদি ইহা ইতিহাস গ্রন্থে উল্লিখিত না থাকে তবে অনন্তরজাত পুরুষেরা, এরূপ ব্যবহার কখন প্রচলিত ছিল, ইহা প্রায় প্রত্যয় করিবেক না।

 ১৮৩১ সালে, বিচারালয়ের অনেক রীতির পরীবর্ত্ত হইতে আরম্ভ হইল। বাঙ্গালিরা এপর্য্যন্ত, যৎসামান্য বেতনে নিযুক্ত হইয়া, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মোকদ্দমার বিচার করি-