পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৯অ

দেশের এক স্থান হইতে স্থানান্তরে কোন দ্রব্য লইয়া যাইতেহইলে মাশুল দিত্তে হইত। তদনুসারে কি জলপথ কি স্থলপথ সর্ব্বত্র এক এক পরমিটের ঘর স্থাপিত হয়। তথায় দ্রব্য সকল আটকাইয়া তদারক করিবার নিমিত্ত অনেক কর্ম্মকর নিযুক্ত হইযাছিল। গৰণমেণ্ট এইরূপ বাণিজ্যের ব্যাঘাত করিয়াও কর সংগ্রহ করিতেন। ঘরে নিযুক্ত কর্ম্মকরেরা যে স্থলে গবর্ণমেণ্টের মাশুল এক টাকা আদায় করিত সেখানে আপনারা নিজে অন্ততঃ দুই টাকা লইত। ফলতঃ, তাহারা প্রঙ্গার উপর এমত দারুণ অত্যাচার আরম্ভ করিয়াছিল যে এই ব্যাপারে অধিকৃত এক জন বিচক্ষণ ইউরোপীয় কর্ম্মকর যখার্থ বিবেচনা পূর্ব্বক এই ব্যাপারকে অভিসম্পাত নামে নির্দেশ করিয়াছিলেন।

 ইঙ্গরেজের যখন মুসলমানদিগের হস্ত হইতে রাজ্য শাসনের ভার গ্রহণ করেন তখন এই ব্যাপার প্রচলিত ছিল এবং তাঁহারাও নিজে এ পর্য্যন্ত ইহা প্রচলিত রাখিয়াছিলেন। কিন্তু বিচক্ষণ লার্ড কর্ণওয়ালিস বাহাদুর এই ব্যাপারকে দেশের বিশেষ ক্ষতিকর বোধ করিয়া ১৭৮৮ সালে, এই নিয়ম একেবারে রহিত করেন এবং দেশের মধ্যে যেখানে যত পরমিটঘর ছিল পুনরায় বন্ধ করিয়া দেয়। ইহার তের বৎসর পরে গভর্নমেণ্ট কর সংগ্রহের সূচনা নূতন পন্থা করিতে উদ্যত হইয়া পুনর্ব্বার এই মাশুলের নিয়ম স্থাপন করেন। এক্ষণে লার্ড উইলিয়ম বেণ্টিক সি ই ট্রি বিলিয়ন সাহেবকে, এই বিষয়ের সবিশেষ অনুসন্ধান করিয়া রিপোর্ট করিতে আজ্ঞা দিলেন।