পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১ অ
বাঙ্গালার ইতিহাস
১১

কৃশংস রাক্ষস বলিয়া প্রসিদ্ধ হইয়াছেন। কিন্তু তিনি, পর দিন প্রাতঃকাল পর্য্যন্ত, এই ব্যাপীবের বিন্দুবিসর্গও জানিতেন না। সেই রীত্রিতে সেনাপতি মাণিকচাঁদের হস্তে দুর্গের ভার অর্পিত ছিল; অতএব তিনিই এই সমস্ত দোষের ভাগী।

 ২১এ জুন, প্রাতঃকালে, এই দারুণ ব্যাপার নবাবের কর্ণগোচর হইলে, তিনি অত্যন্ত অনবধান প্রদর্শন করিলেন। অন্ধকূপে রুদ্ধ হইয়া যে কয়েক ব্যক্তি জীবিত থাকে, হালওয়েল সাহেব তাহীদের মধ্যে এক জন। নবাব তাহণকে আহবান করিয়া ধনাগার দেখাইয়া দিতে কহিলেন। তিনি দেখাইয়া দিলেন; কিন্তু ধনগণর মধ্যে কেবল পঞ্চণশ সহস্র মাত্র টাকা পাওয়া গেল, ইহাতে নবাবের অত্যন্ত চমৎকার বোধ হইল।

 সিরাজউদৌল নয় দিবস কলিকাতার সন্নিধ্যে থাকিলেন। অনন্তর কলিকাতার নাম আলিনগর রাখিয়া মুরশিদাবাদ প্রস্তান করিলেন। ২রা জুলাই,গঙ্গা পার হইয়া হুগলীতে উত্তীর্ণ হইলেন এবং লোক দ্বারা ও লন্দাজ ও ফরাসিদিগের নিকট কিছু কিছু টাকা চাহিয়া পঠাইলেন। তিনি তঁহাদিগকে এই বলিয়া ভয় প্রদর্শন করিয়াছিলেন, যদি অস্বীকার কর, তোমাদেরও ইঙ্গরেজদের মত দুরবস্থা করিব। তাহাতে ওলন্দাজের সাড়ে চারি লক্ষ, ও ফরাসির সাড়ে তিন লক্ষ, টাকা দিয়া সে যাত্রা পরিত্রাণ পাইলেন।

 যে বৎসর কলিকাতা পরাজিত ও ইঙ্গরেজেরা বাঙ্গালা হইতে দূরীকৃত হয়েন, সেই বৎসর অর্থাৎ ১৭৫৬ খৃঃ