পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২ অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৩১

লা সাহেবের সহিত সমাগত হইবার নিমিত্ত, নৌকারোহণ পূর্ব্বক জল পথে প্রস্থান করিলেন। ইতি পূর্ব্বে তিনি ঐ সেনাপতিকে পাটনা হইতে আসিতে পত্র লিখিয়াছিলেন।

 পলাশির যুদ্ধে ইঙ্গরেজদিগের, হত আহত সমুদায়ে, কুড়ি জন গোরা ও পঞ্চাশ জন সিপাই নষ্ট হয়। যুদ্ধ সমাপ্তির পর, মীরজাফর, ক্লাইবের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, তাঁহার রণজয় নিমিত্ত সভাজন ও হর্ষ প্রকাশ করিলেন। অনন্তর উভয়ে একত্র হইয়া মুরশিদাবাদ যাত্রা করিলেন। তথায় উপস্থিত হইয়া মীরজাফর রাজকীয় প্রাসাদ অধিকার করিলেন।

 নগরের প্রধান প্রধান লোক ও রাজ্যের প্রধান প্রধান কর্ম্মকারকেরা রাজসভায় উপস্থিত হইলেন। তখন ক্লাইব, আপন আসন হইতে গাত্রোত্থান করিয়া, মীরজাফরের করগ্রহণ পূর্ব্বক সিংহাসনে বসাইয়া, তাঁহাকে বাঙ্গালা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব বলিয়া সম্ভাষণ ও বন্দনা করিলেন। তৎপরে তাঁহারা উভয়ে, কয়েক জন ইউরোপীয় ভদ্র লোককে এবং ক্লাইবের দেওয়ান রামচাঁদ ও তাঁহার মুন্সী নবকৃষ্ণকে সঙ্গে লইয়া, ধনাগারে প্রবেশ করিলেন। কিন্তু তন্মধ্যে স্বর্ণ ও রৌপ্য উভয়ে দুই কোটি টাকার অধিক দেখিতে পাইলেন না।

 তৎকালের মুসলমান ইতিহাসলেখক কহেন যে ইহা কেবল বাহ্য ধনাগার মাত্র। এতদ্ভিন্ন, অন্তঃপুরে আর এক ধনাগার ছিল। ক্লাইব তাহার সন্ধান পান নাই। ঐ কোষে স্বর্ণ, রজত ও রত্নে আট কোটি টাকার ম্যূন ছিল