পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
বাঙ্গালার ইতিহাস।
২ অ

না। মীরজাফর, আমীরবেগ খাঁ, রামাচাঁদ, নবকৃষ্ণ এই কয়েক জনে ঐ ধন ভাগ করিয়া লয়। উক্ত পুরাবৃত্তজ্ঞের এই নির্দেশ নিতান্ত অমূলক বা অসম্ভব বোধ হয় না। কারণ, রামচাঁদ তৎকালে কেবল ষাটি টাকা মাত্র মাসিক বেতন পাইতেন; কিন্তু দশ বৎসর পরে তিনি এক কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকার বিষয় রাখিয়া মরেন। মুন্সী নবকৃষ্ণেরও মাসিক বেতন ষাটি টাকার অধিক ছিল না; কিন্তু তিনি মাতৃ শ্রাদ্ধ উপলক্ষে নয় লক্ষ টাকা ব্যয় করিয়াছিলেন। এই মহাপুরুষই পরিশেষে রাজোপাধি প্রাপ্ত হইয়া রাজা নবকৃষ্ণ নামে বিখ্যাত হয়েন।

 অতঃপর ইঙ্গরেজরা সকল সঙ্কট হইতে মুক্ত হইলেন। ১৭৫৬ খৃঃ অব্দের জুন মাসে, তাঁহাদের কুঠী লুঠ হয়, বাণিজ্য উচ্ছিন্ন হয়, এবং কর্ম্মকারকদিগের প্রাণ দণ্ড হয়। বস্তুতঃ, তাঁহারা বাঙ্গালাতে একবারে সন্ধ প্রকার সম্বন্ধ শূন্য হইয়াছিলেন। কিন্তু, ১৭৫৭ খৃঃ অব্দের জুন মাসে, তাঁহারা কেবল আপনাদিগের কুঠী সকলই পুনর্ব্বার অধিকার করিলেন, এমত নহে; আপনাদিগের বিপক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজয় করিলেন,অনুগত এক ব্যক্তিকে নবাব করিলেন; এবং উহাদের প্রতিদ্বন্দ্বি ফরাসিরা বাঙ্গালা হইতে দূরীকৃত হইলেন।

 নবাব কলিকাতা আক্রমণ করাতে, কোম্পানি বাহা দুরের এবং ইঙ্গরেজ, বাঙ্গালি ও আরমানিদিগের যথেষ্ট ক্ষতি হইয়াছিল; সেই ক্ষতির এইরূপে পূরণ করা গেল। কোম্পানি বাহাদুর এক কোটি টাকা পাইলেন; ইঙ্গরেজেরা পঞ্চাশ লক্ষ; বাঙ্গালি বণিকেরা বিশ লক্ষ;