পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩ অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৪৫

করাতে, সকলেই তাঁহার শাসনে অসন্তুষ্ট হইতে লাগিলেন। তিনি এরূপ নিষ্ঠুর ব্যাপারের অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইতে লাগিলেন, যে সকলে সিরাজউদ্দৌলার কুক্রিয়া সকল বিস্মৃত হইয়া গেল।

 দিল্লীর সম্রাটের পুত্র শাহআলম, সর্ব্ব সাধারণের এই রূপ অসন্তোষ দর্শনে সাহসী হইয়া, দ্বিতীয় বার বিহার আক্রমণের উদ্যোগ করিলেন। পূর্ণিয়ার গবর্ণর, কাদিম হোসেন খাঁ, স্বীয় সৈন্য লইয়া তাঁহার সহিত যোগ দিবার নিমিত্ত প্রস্তুত হইলেন। শাহআলম, কর্ম্মনাশা পার হইয়া বিহারের সীমায় পাদার্পণ মাত্র, সংবাদ পাইলেন যে সাম্রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী, প্রসিদ্ধ ক্রূর, ইমাদউল্মুলুক, সম্রাটের প্রাণবধ করিয়াছে। এই ঘটনা হওয়াতে, শাহআলম ভারতবর্ষের সম্রাট হইলেন, এবং অযোধ্যার সুবাদারকে সাম্রাজ্যের অমাত্য পদে নিযুক্ত করিলেন। কিন্তু তিনি নামমাত্র সম্রাট হইলেন; তাঁহার পরাক্রমও ছিল না, প্রজাও ছিল না; তৎকালে তাঁহার রাজধানী পর্য্যন্ত শত্রুদিগের হস্তগত ছিল; এবং তিনি নিজেও নিজরাজ্যে এক প্রকার পলাতক স্বরূপ ছিলেন।

 অনন্তর তিনি পাটনা অভিমুখে যাত্রা করিলে, পরাক্রান্ত রামনারায়ণ, ঐ নগর রক্ষার এক প্রকার উদ্যোগ করিয়া সাহায্য প্রাপ্তির নিমিত্ত, অতি নিয়ে মুরশিদাবাদে পত্র লিখিলেন। কর্ণেল কালিয়ড তৎকালে সৈন্যের অধ্যক্ষ ছিলেন; তিনি ইংলণ্ডীয় সৈন্য লইয়া তৎক্ষণাৎ প্রস্থান করিলেন; এবং মীরনও আপন সৈন্য সহিত তাঁহার অনুগামী হইলেন।