পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪ অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৫৫

গিয়া সাক্ষাৎ করিতে সম্মত হইলেন না। পরিশেষে এই নির্ধারিত হইল উভয়েই ইঙ্গরেজদিগের কুঠীতে আসিয়া পরস্পর সাক্ষাৎ করিবেন।

 উপস্থিত কার্য্যনির্ব্বাহের নিমিত্ত এক সিংহাসন প্রস্তুত হইল; সমস্ত ভারতবর্ষের সম্রাট তদুপরি উপবেশন করিলেন। মীরকাসিম সমুচিত সম্মান প্রদর্শন পূর্ব্বক তাঁহার সম্মুখবর্তী হইলেন। অনন্তর সম্রাট তাঁহাকে বাঙ্গালা, বিহার ও উড়িষ্যার সুবাদারী প্রদান করিলে, তিনি প্রতি বৎসর চতুর্ব্বিংশতি লক্ষ টাকা কর দান স্বীকার করিলেন। তৎপরে সম্রাট দিল্লী যাত্রা করিলেন। কার্ণাক সাহেব কর্ম্মনাশার তীর পর্যন্ত তাঁহার অনুগমন করিলেন। সম্রাট তথায়, কর্ণাকের নিকট বিদায় লইবার সময়, প্রস্তাব করিলেন ইঙ্গরেজেরা যখন প্রার্থনা করিবেন তখনি আমি তাঁহাদিগকে তিন প্রদেশের দেওয়ানী প্রদান করিব। ১৭৫৫ খৃঃ অব্দে উড়িষ্যা প্রদেশ মহারাষ্ট্রীয়দিগকে প্রদত্ত হয়, কেবল সুবর্ণ রেখার উত্তরবর্ত্তি অংশমাত্র অবশিষ্ট থাকে। তদবধি ঐ অংশই উড়িষ্যানামে ব্যবহৃত হইত।

 মীরকাসিম, পাটনার গবর্নর রামনারায়ণ ব্যতিরিক্ত, সমুদায় জমিদারদিগকে সম্পূর্ণরূপে আপন বশে আনিয়াছিলেন। রামনারায়ণের ধনবান্ বলিয়া খ্যাতি ছিল; কিন্তু তিনি ইঙ্গরেজদিগের আশ্রয়চ্ছায়াতে উপবিষ্ট ছিলেন; অতএব, সহসা তাঁহাকে আক্রমণ করা অবিধেয় বিবেচনা করিয়া, নবাব কৌশলক্রমে তাঁহার সর্বনাশের উপায় দেখিতে লাগিলেন। রামনারায়ণ তিন বৎসর .