পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৪ অ

হিসাব পরিষ্কার করেন নাই। কিন্তু ইহাও মনে করিতে হইবেক, যে ঐ সময়ে বিহার দেশ বিপক্ষ সৈন্য দ্বারা যতপরোনাস্তি উৎপাতগ্রস্ত হইয়াছিল। যাহা হউক, নবাব ইঙ্গরেজদিগকে লিখিলেন, রামনারায়ণের নিকট বাকী আদায় না হইলে, আমি আপনকারদিগের দেন। পরিশোধ করিতে পারি না। আর যাবৎ আপনকারদিগের সৈন্য পাটনাতে থাকিবেক তাবৎ ঐ বাকী আদায়ের কোন সম্ভাবনা নাই।

 তৎকালে কলিকাতার কৌন্সিলে দুই পক্ষ ছিল; তন্মধ্যে এক পক্ষ মীরকাসিমের প্রতিকুল, অন্যপক্ষ তাঁহার অনুকূল। গবর্ণর বান্সিটার্ট সাহেব এই পক্ষে ছিলেন। মীরকাসিমের প্রস্তাব লইয়া উভয় পক্ষে বিস্তর বাদানুবাদ হইল। অবশেষে বানসিটার্টের পক্ষই প্রবল হইল। এই পক্ষের মতানুসারে ইঙ্গরেজেরা পাটনা হইতে আপনাদিগের সৈন্য উঠাইয়া আনিলেন; সুতরাং রামনারায়ণ নিতান্ত অসহায় হইলেন; এবং নবাবও তাঁহাকে রুদ্ধ ও কারাবদ্ধ করিতে কালবিলম্ব করিলেন না। গুপ্তধনাগার দেখাইয়া দিবার নিমিত্ত তাঁহার কর্ম্মকরদিগকে অনেক যন্ত্রণা দেওয়া গেল, তথাপি গবর্ণমেণ্টের সমুচিত ব্যয়ের নিমিত্ত যাহা আবশ্যক, তদপেক্ষায় অধিক টাকা পাওয়া গেল না।

 মীরকাসিম এপর্যন্ত নির্বিবাদে রাজ্যশাসন করিলেন। পরে তিনি কোম্পানির কর্ম্মকারকদিগের আত্মম্ভরিতা দোষে যেরূপে রাজ্যভ্রষ্ট হইলেন এক্ষণে তাহার বর্ণনা করা যাইতেছে।