পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪ অ
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৫৯

করিতেন, সুতরাং তাঁহাদিগের সে সকল চেষ্টা বৃথা হইল। পরিশেষে ঐ সকল অবৈধ ব্যবহারের এত বাড়াবাড়ি হইয়া উঠিল যে কোম্পানির গোমাস্তাদিগের নির্দ্ধারিত মূল্যেই দেশীয় বণিকদিগকে ক্রয় বিক্রয় করিতে হইত। অতঃপর মীরকাসিম ইঙ্গরেজদিগকে শক্রমধ্যে গণনা করিলেন। এবং ত্বরায় নবাব ও ইঙ্গরেজ এই উভয় পক্ষের পরস্পর যুদ্ধ ঘটিবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা হইয়া উঠিল।

 ইহার নিবারণার্থে বান্সিটার্ট সাহেব স্বয়ং মুঙ্গেরে গিয়া নবাবের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন; নবাবও সৌহৃদ্যভাবে তাঁহার সম্বর্দ্ধনা করিলেন। পরে বিষয় কর্ম্মের কথা উত্থাপন হইলে,মীরকাসিম, কোম্পানির কর্ম্মকারক দিগের অত্যাচার বিষয়ে যৎপরোনাস্তি অসন্তোষ প্রদর্শন পূর্ব্বক, অনেক অনুযোগ করিলেন। বান্সিটার্ট সাহেব, তাঁহাকে অশেষ প্রকারে সান্ত্বনা করিয়া, প্রস্তাব করিলেন, কি দেশীয় লোক কি ইঙ্গরেজ, সকলকেই বস্তুমাত্রের একবিধ অর্থাৎ শতকরা নয় টাকার হিসাবে মাশুল দিতে হইবেক। কিন্তু আমার স্বয়ং এরূপ নিয়ম নির্দ্ধারিত করিবার ক্ষমতা নাই। অতএব কলিকাতায় গিয়া কৌন্সিলের সাহেবদিগকে এই নিয়ম নির্দ্ধারিত করিতে পরামর্শ দিব। নবাব,অত্যন্ত অনিচ্ছা পূর্ব্বক, এই প্রস্তাবে সম্মত হইলেন; কিন্তু কহিলেন যদি ইহাতেও এই অনিয়ম নিবারণ না হয়, তবে আমি মাশুলের প্রথা একবারে রহিত করিয়া দেশীয় ও ইউরোপীয় উভয় জাতিকেই সমান করিব।