পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
বাঙ্গালার ইতিহাস
৪ ক

 বান্সিটার্ট সাহেব, কলিকাতার কেন্সিলে এই বিষয়ে প্রস্তাব করিবার নিমিত্ত, সত্বর হইয়া কলিকাতা প্রত্যাগমন করিলেন। কিন্তু মীরকাসিম, কৌন্সিলের সম্মতি পর্য্যন্ত অপেক্ষা না করিয়া, তৎক্ষণাৎ শুল্কসম্পৰ্কীয় কর্ম্মকারকদের নিকট এই আজ্ঞ পাঠাইলেন যে তোমরা ইঙ্গরেজদের স্থানেও শত করা নয় টাকার হিসাবে মাশুল আদায় করিবে। ইঙ্গারেজেরা মাশুল দিতে অসম্মত হইলেন এবং নবাবের কর্ম্মকারকদিগকে কয়েদ করিয়া রাখিলেন। মফঃসলের কুটার অধ্যক্ষ সাহেবের কর্ম্মস্থান পরিত্যাগ করিয়া সত্বর হইয়া কলিকাতায় আগমন করিলেন। শত করা নয় টাকা শুক্লের বিষয়ে বানসিটার্ট সাহেব ষে প্রস্তাব করিলেন হেষ্টিংস ভিন্ন অন্য সকলেই অবজ্ঞা প্রদর্শন পুর্ব্বক তাহ অগ্রাস্থ করিলেন। তাঁহারা সকলেই কহিলেন যে কেবল লবণের উপর আমরা শত করা আড়াই টাকা মাত্র শুল্ক দিব।

 মীরকাসিম তৎকালে বাঙ্গালায় ছিলেন না যুদ্ধ যাত্রায় নেপাল গমন করিয়াছিলেন; প্রত্যাগমনানন্তর শ্রবন করিলেন যে কৌন্‌সিলের সাহেবেরা মাশুল দিতে অস্বীকৃত হইয়াছেন, এবং উহার কর্ম্মকারকদিগকে কয়েদ করিয়া রাখিয়াছেন। তখন তিনি কিঞ্চিম্মাত্র বিলম্ব না করিয়া পুর্ব্বপ্রতিজ্ঞানুরূপ কার্য্য করিলেন অর্থাৎ বাঙ্গালা ও বিহারের মধ্যে পণ্যদ্রব্যের মাশুল একবারেই উঠাইয়া দিলেন।

 কৌনসিলের মেম্বরেরা শুনিয়া ক্রোধে অন্ধ হইলেন, এবং কহিলেন নবাবকে আপন প্রজাদিগের নিকট পুর্ব্ব-