হে, লসিংটন এই তিন জনও ছিলেন। ১৭৬৩ খৃঃ অব্দের ৬ই নবেম্বর, পাটনা নগর ইঙ্গরেজদিগের হস্তগত হইল। এবং মীরকাসিম পলাইয়া অযোধ্যার সুবাদারের আশ্রয় লইলেন।
এইরূপে প্রায় চারি মাসেই যুদ্ধের শেষ হইল। পর বৎসর, ২২এ অক্টোবর, ইঙ্গরেজদিগের সেনাপতি বক্সারে অযোধ্যার সুবাদারের সৈন্য সকল পরাজয় করিলেন। জয়ের পর উজীরের সহিত যে বন্দোবস্ত হয় বাঙ্গালার ইতিহাসে তাহার কোন সম্বন্ধ নাই। অতএব এস্থলে সে সকলের উল্লেখ না করিয়া, ইহা কহিলেই পর্য্যাপ্ত হইবেক যে তিনি প্রথমতঃ মীরকাসিমকে আশ্রয় দেন, পরে তাঁহার সমস্ত সম্পত্তি লুণ্ঠন করিয়া তাড়াইয় দেন।
মীরজাফর দ্বিতীয় বার বাঙ্গালার সিংহাসনে আরূঢ় হইয়া দেখিলেন, ইঙ্গরেজদিগকে যত টাকা দিবার অঙ্গীকার করিয়াছেন তাহা পরিশোধ করা অসাধ্য। তৎকালে তিনি অত্যন্ত বৃদ্ধ হইয়াছিলেন। তাঁহার রোগ ক্রমে বদ্ধমূল হইয়া আসিয়াছিল। তিনি, ১৭৬৫ খৃঃ অব্দের জানুয়ারি মাসে, চতুঃসপ্ততি বৎসর বয়সে মুরশিদাবাদে প্রাণত্যাগ করিলেন।
তাঁহার উত্তরাধিকারী নিযুক্ত করা দিল্লীর সম্রাটের অধিকার। কিন্তু তৎকালে তাঁহার কোন ক্ষমতা ছিল না; বরং তাঁহার নিজ রাজধানীতে প্রবেশ করিবারও উপায় ছিল না। অতএব ইঙ্গরেজদিগের যাহা ইচ্ছা হইল, তাহাই তাঁহারা করিলেন। মণিবেগমের গর্তজাত নজমউদ্দৌলা নামে মীরজাফরের এক পুত্ত্র ছিল। কলিকাতার