পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
বাঙ্গালার ইতিহাস।
৬অ

সরকারী কার্য্য নির্ব্বাহ বিষয়ের প্রশংসা করিয়াছেন; কিন্তু ইহাও লিখিয়াছেন, প্রধান পদারূঢ় অন্যান্য লোকের ন্যায়, তিনিও অন্যায়াচরণ পুর্ব্বক প্রজাদিগের নিকট অধিক ধন গ্রহণ করিতেন।

 তাঁহাকে অপরাধী বোধ করিয়া কলিকাতায় আনয়ন করাতে তাঁহার যে অমর্য্যাদা হইয়াছিল, তাহার প্রতিবিধানার্থে কিছু পারিতোষিক দেওয়া উচিত বোধ হওয়াতে, কৌন্সিলের সাহেবেরা তাঁহাকে এক মর্য্যাদা সুচক পরিচ্ছদ পুরস্কার দিলেন এবং বিহারের রায় রাইয়াঁ করিলেন। কিন্তু অপরাধী বোধ করিয়া পরীক্ষার্থ কলিকাতায় আনয়ন করাতে তাঁহার যে অপমান বোধ হইয়াছিল, তাহাতে তিনি একবারে ভগ্নচিত্ত হইলেন। ইঙ্গরেজেরা এপর্য্যন্ত এ দেশীয় যত লোক নিযুক্ত করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে তাঁহারা রাজা সিতাব রায়ের সর্ব্বদা অত্যন্ত গৌরব করিতেন। তিনি এরূপ তেজস্বী ছিলেন, যে অপরাধি বোধে অধিকারচ্যুত করা,কয়েদ করিয়া কলিকাতায় আনা, এবং দোষের আশঙ্কা করিয়া পরীক্ষা করা এই সকল অপমান তাঁহার অত্যন্ত অসহ্য হইয়াছিল। ফলতঃ, পাটনা প্রত্যাগমন করিয়া এই মনঃপীড়াতেই তিনি প্রাণ ত্যাগ করিলেন। তাঁহার পুত্র রাজা কল্যাণসিংহ অবিলম্বে তদীয় পদে অভিষিক্ত হইলেন। পাটনা প্রদেশ উৎকৃষ্ট দ্রাক্ষা ফলের নিমিত্ত যে প্রসিদ্ধ হইয়াছে, রাজা সিতাব রায়ই তাহার আদিকারণ। তাঁহার উদ্যোগেই ঐ প্রদেশে দ্রাক্ষা ও খরমুজের চাস আরম্ভ হয়।