পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পরিশিষ্ট (ঙ)

কুলশাস্ত্রের ঐতিহাসিক প্রমাণ

 গত তিন বৎসর যাবৎ ‘প্রবাসী’ ‘মানসী’ প্রভৃতি মাসিকপত্রে “আদিশূর ও কুলশাস্ত্র” “ভোজবর্ম্মার তাম্রশাসন” “দনুজমর্দ্দনদেব ও মহেন্দ্রদেব,” “কুলশাস্ত্রের ঐতিহাসিকতার দৃষ্টান্ত” প্রভৃতি প্রবন্ধে বঙ্গদেশীয় কুলশাস্ত্রের ঐতিহাসিক প্রমাণের অসারতা প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছি। শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ বহুদিন যাবৎ বাঙ্গালাদেশের ভিন্ন ভিন্ন জাতির কুলশাস্ত্র-সমূহ সংগ্রহ করিয়া তাহা হইতে ঐতিহাসিক প্রমাণ সঙ্কলন করিয়া আসিতেছেন এবং সুধীগণের নিকটে সেই সকল প্রমাণ ধ্রুবসত্যরূপে গৃহীত হইয়া আসিয়াছে। গত তিন বৎসরের মধ্যে দুইখানি তাম্রশাসন এবং কতকগুলি প্রাচীন মুদ্রা আবিষ্কৃত হওয়ায় কুলশাস্ত্র-সমূহের ঐতিহাসিক প্রমাণের অসারতা প্রতিপন্ন হইয়াছে। নিম্নলিখিত তাম্রশাসন ও প্রাচীন মুদ্রা আবিষ্কৃত হওয়ায় কুলশাস্ত্রের ঐতিহাসিক প্রমাণের সত্যতা সম্বন্ধে আমার সন্দেহ জন্মে:—

 (১) দনুজমর্দ্দনদেব ও মহেন্দ্রদেবের রজত মুদ্রা। মালদহে উত্তরবঙ্গ সাহিত্য-সম্মিলনের চতুর্থ অধিবেশনে স্বর্গগত রাধেশচন্দ্র শেঠ দুইটি রজত মুদ্রা প্রদর্শন করিয়াছিলেন। এই মুদ্রা দুইটি পাণ্ডুয়ার আঙ্গিনা মসজিদের উত্তর-পূর্ব্বাংশে ন্যূনাধিক দুই ক্রোশ মধ্যে জনৈক সাঁওতাল-কৃষক কর্ত্তৃক আবিষ্কৃত হইয়াছিল। সেই কৃষক তাহা পুরাতন মালদহের জনৈক দোকানদারের নিকট বিক্রয় করিয়াছিল। মালহের “গৌড়দূত” নামক সাপ্তাহিক পত্রের কার্য্যাধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত কৃষ্ণচন্দ্র আগরওয়ালা মুদ্রা দুইটি দোকানদারের নিকট হইতে সংগ্রহ করিয়া ৺রাধেশচন্দ্র শেঠকে প্রদান করিয়াছিলেন। শেঠ মহাশয় রঙ্গপুর সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় এই দুইটি মুদ্রার বিবরণ