পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
১৩৫

করিয়া গিয়াছেন। “গৌড়রাজমালা”য় শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ আদিশূর ও জয়ন্তের একত্ব সম্বন্ধে সর্ব্বপ্রথমে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছিলেন:—

 “জয়ন্ত ঐতিহাসিক ব্যক্তি হইলে ১১০০ বৎসর পূর্ব্বে জীবিত ছিলেন। আর ৺বংশীবিদ্যারত্ন ঘটক ঊনবিংশ শতাব্দীর লোক। বংশীবিদ্যারত্ন কোন্ মূল গ্রন্থ হইতে এই তথ্য সংগ্রহ করিয়াছিলেন, সেই মূলগ্রন্থ কোন্ সময়ে রচিত হইয়াছিল, এবং উহার ঐতিহাসিক মূল্যই বা কত, ইত্যাদি বিষয়ের সম্যক বিচার না করিয়া, এতবড় একটা কথা স্বীকার করা যায় না[১]।”

 শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দের উক্তির প্রত্যুত্তর স্বরূপ বসুজ মহাশয় অন্য একস্থানে লিখিয়াছেন:—

 “রাটীয় কুলপঞ্জিকা হইতে একটি বিশেষ কথা জানিতে পারি, শ্রীজয়ন্তপুত্র রাজা ভূশূর বিভিন্ন স্থানের নামানুসারে রাঢ়ীয়, বারেন্দ্র ও সাতশতী এই শ্রেণী বিভাগ করিয়াছিলেন[২]।”

 “ব্রাহ্মণডাঙ্গা নিবাসী বংশীবদন বিদ্যারত্ন ঘটক মহাশয় সংগৃহীত বহু সংখ্যক কুলগ্রন্থের কথা রাঢ়ীয় শ্রেণীর ব্রাহ্মণ ঘটক ও কুলীন ব্রাহ্মণ মাত্রেই অবগত আছেন। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ ২৮ বর্ষ পূর্ব্বে ‘গৌড়ে ব্রাহ্মণ’ রচয়িতা ৺মহিমচন্দ্র মজুমদার মহাশয় উক্ত বিদ্যারত্ন মহাশয়ের বহু কুলগ্রন্থের উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। তাঁহার গ্রন্থে বিদ্যারত্ন মহাশয়ের নাম পাইয়াই আজ পঞ্চদশ বর্ষের অধিক হইল আমরা ব্রাহ্মণডাঙ্গায় উক্ত ঘটক মহাশয়ের গৃহে উপস্থিত হইয়াছিলাম। তৎকালে তাঁহার বৃদ্ধাকন্যা আমাদিগকে তাঁহার সংগৃহীত কুলগ্রন্থ দেখিতে দিয়াছিলেন,—

  1. গৌড়রাজমালা, পৃঃ ১৯, পাদটীকা।
  2. বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, রাজন্যকাণ্ড, (কায়স্থ কাণ্ডের প্রথমাংশ), পৃঃ ৯৮।