বহু সন্ধি-বিগ্রহে লিপ্ত হইয়াছিলেন। প্রতীহার-বংশের একখানি খোদিতলিপি হইতে জানিতে পারা যায় যে, প্রতীহারগণ গুর্জ্জর জাতির একটি শাখা। এই শিলালিপি রাজপুতানার আলোয়ার রাজ্যে অবস্থিত রাজোর বা রাজোরগড়ের দক্ষিণস্থিত পারনগরের ধ্বংসাবশেষমধ্যে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। এই শিলালিপির দ্বারা প্রতীহার-বংশীয় বিজয়পালদেবের মথনদেব নামক জনৈক সামন্ত একখানি গ্রাম দান করিয়াছিলেন[১]।
খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে গুজরাটে বর্ত্তমান ভরোচের (প্রাচীন ভৃগুকচ্ছ বা ভরুকচ্ছ) নিকটে একটি ক্ষুদ্র গুর্জ্জর-রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। নন্দোর (বর্ত্তমান নন্দোড্, ইহা রাজপিপলা-রাজ্যের রাজধানী) এই রাজ্যের রাজধানী ছিল। ভরোচের গুর্জ্জর-বংশীয় রাজগণ তাঁহাদিগের খোদিত লিপিসমূহে রাজোপাধি ব্যবহার করেন নাই। ৺পণ্ডিত ভগবান্লাল ইন্দ্রজী যখন ভরোচের গুর্জ্জর-বংশের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন, তখনও উত্তরাপথের গুর্জ্জর-প্রতীহার সাম্রাজ্যের ইতিহাস উদ্ধার হয় নাই। সেইজন্যই ভগবান্লাল ভরোচের গুর্জ্জর-রাজগণের স্বামিনির্ণয় করিতে পারেন নাই[২]। ভিল্লমাল ও কান্যকুব্জের গুর্জ্জর-প্রতীহার-সাম্রাজ্যের লুপ্ত ইতিহাস উদ্ধার হইলে নির্ণীত হইয়াছে যে, ভরোচের গুর্জ্জর-রাজগণ প্রতীহার-বংশীয় সম্রাট্গণের সামন্ত বা করদ নৃপতি ছিলেন। ভরোচের গুর্জ্জর-বংশের প্রথম রাজা প্রথম দদ্দ খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষপাদে এবং ষষ্ঠ নরপতি তৃতীয় জয়ভট খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর দ্বিতীয় পাদে বিদ্যমান ছিলেন।