বোঠলিঙ্ক, ‘মাৎস্যন্যায়’ সম্বন্ধে তাঁহার “ভারতবর্ষীয় ভাষা” নামক গ্রন্থে একটি শ্লোক উল্লেখ করিয়াছিলেন[১]।
মগধের গুপ্তরাজবংশীয় সম্রাট্ দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের মৃত্যুর পরে, গৌড়-মগধ-বঙ্গে যে ‘মাৎস্যন্যায়’ বা অরাজকতা উপস্থিত হইয়াছিল, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই। কান্যকুব্জরাজ যশোবর্ম্মা, কামরূপপতি হর্ষদেব, গুর্জ্জরেশ্বর বৎসরাজ ও রাষ্ট্রকূট-বংশীয় সম্রাট্ ধ্রুবধারাবর্ষ কর্ত্তৃক আক্রান্ত হইয়া গৌড়ীয় প্রজাবৃন্দ অবশেষে একজন রাজা নির্ব্বাচন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। বৌদ্ধধর্ম্মের ইতিহাসকার লামা তারানাথ গোপালদেবের রাজ্যলাভের অব্যবহিত পূর্ব্বে গৌড়বঙ্গের অবস্থা সম্বন্ধে একটি কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন; “প্রতিদিন এক একজন রাজা নির্ব্বাচিত হইতেন, কিন্তু ভূতপূর্ব্ব রাজার পত্নী রাত্রিতে তাঁহাদিগকে সংহার করিতেন। কিছুদিন পরে গোপালদেব রাজপদ লাভ করিয়া, রাজ্ঞীর হস্ত হইতে আত্মরক্ষা করিয়া, আমরণ সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন[২]।” তারানাথের ইতিহাস বিশ্বাসযোগ্য নহে, কিন্তু ধর্ম্মপালদেবের তাম্রশাসনে যখন গোপালদেবের নির্ব্বাচনের কথা আছে, তখন তাঁহার
- ↑
“পরম্পরামিষতয়া জগতে ভিন্নবর্ত্তনঃ।
দণ্ডাভাবে পরিধ্বংসী মাৎস্যো ন্যায়ঃ প্রবর্ত্ততে॥”
—Bohtlingk’s Indische Spruche, second part.
- ↑ Indian Antiquary, Vol. IV, p. 366.
অয়ং প্রায়ঃ ইতিহাস-পুরাণাদিষু দৃশ্যতে, যথাহি বাশিষ্ঠে প্রহ্লাদাখ্যানে তৎসমাধিং প্রস্তুত্যেবক্তম্—
এতাবতাথ কালেন তদ্রসাতল-মণ্ডলং।
বভূবারাজকং তীক্ষ্ণং মাৎস্যন্যায়-কদর্থিতম্॥