পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮০
বাঙ্গালার ইতিহাস।

জীবিত ছিলেন[১]। ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে শ্রীযুক্ত দেবদত্ত রামকৃষ্ণ ভাণ্ডারকর স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছেন যে, ধর্ম্মপাল, গুর্জ্জর-প্রতীহাররাজ দ্বিতীয় নাগভট ও রাষ্ট্রকূটরাজ তৃতীয় গোবিন্দ সমসাময়িক ব্যক্তি ছিলেন[২]

 স্বর্গীয় ডাক্তার কীলহর্ণ ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে, ভাগলপুরে আবিষ্কৃত নারায়ণপালদেবের তাম্রশাসনের একটি শ্লোক সম্বন্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছিলেন। সেই শ্লোক হইতে অবগত হওয়া যায় যে, ধর্ম্মপাল ইন্দ্ররাজ প্রভৃতি রাজগণকে জয় করিয়া কান্যকুব্জের রাজলক্ষ্মী লাভ করিয়াছিলেন এবং তাহা চক্রায়ুধকে প্রদান করিয়াছিলেন[৩]। তৎকালে ডাঃ কীলহর্ণ প্রশ্ন করিয়াছিলেন, “এই চক্রায়ুধ কে?”[৪] বহুকাল এই প্রশ্নের সদুত্তর খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই। জৈন হরিবংশ পুরাণে একটি শ্লোকে ইন্দ্রায়ুধ নামক উত্তর দিকের অধিপতির নাম পাওয়া গিয়াছিল[৫]। পণ্ডিতগণ অনুমান করিতেন যে, ভাগলপুর তাম্রশাসনের ‘ইন্দ্ররাজ’ ও ‘ইন্দ্রায়ুধ’ একই

  1. Early History of India, 3rd edition, p. 398.
  2. Epigraphia Indica, Vol. IX. p. 26. Note 4.
  3. জিত্বেন্দ্ররাজ-প্রভৃতীনরাতীনুপার্জ্জিতা যেন মহোদয়-শ্রীঃ।
    দত্তা পুনঃ সা বলিনার্থয়িত্রে চক্রায়ুধায়ানতি বামনায়॥
    —ভাগলপুরে আবিষ্কৃত নারায়ণপালের তাম্রশাসন, ৩য় শ্লোক, গৌড়লেখমালা, পৃঃ ৫৭। 

     স্বর্গীয় রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র এই শ্লোকের চতুর্থপাদে বলিনার্থয়িত্রে স্থানে বলিনাথপিত্রে পাঠ করিয়াছিলেন। তদনুসারে শ্রীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু অদ্যাবধি চক্রায়ুধকে ইন্দ্রায়ুধের পিতা বলিয়া লিপিবদ্ধ করিতেছেন। (বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস, রাজন্যকাণ্ড, পৃঃ ১৫৩)।
  4. Indian Antiquary, Vol. XX, pp. 187-88.
  5. শাকেষ্বব্দশতেষু সপ্তসু দিশং পঞ্চোত্তরেষূত্তরাং
    পাতীন্দ্রায়ুধনাম্নি কৃষ্ণনৃপজে শ্রীবল্লভে দক্ষিণাং।
    পূর্ব্বাং শ্রীমদবন্তিভূভৃতি নৃপে বৎসাধিরাজেপরাং
    সৌর্যাণামধিমণ্ডলং জয়যুতে বীরে বরাহেবতি॥
    —Journal of the Royal Asiatic Society, 1909, p. 253.