পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
১৮১

ব্যক্তি। অর্দ্ধ শতাব্দীর মধ্যে একখানি শিলালিপি ও একখানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়া ধর্ম্মপাল ও চক্রায়ুধের সম্বন্ধ এবং কালনির্ণয়ের পথ প্রশস্ত করিয়াছে। ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে গোয়ালিয়র নগরের প্রান্তে সাগরতাল নামক স্থানে কতকগুলি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ-খননকালে একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ১৯০৩ খৃষ্টাব্দে পণ্ডিত শ্রীযুক্ত হীরানন্দ শাস্ত্রী প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের সর্ব্বাধ্যক্ষ কর্ত্তৃক গোয়ালিয়র নগরের চিত্রশালায় রক্ষিত কতকগুলি শিলালিপি পরীক্ষা করিতে প্রেরিত হইয়াছিলেন। সেই সময়ে তিনি গোয়ালিয়রের চিত্রশালায় এই শিলালিপি দেখিতে পাইয়াছিলেন। এই শিলালিপির একখানি প্রতিলিপি ডাঃ হর্ণলি ডাঃ কীলহর্ণকে প্রদান করিয়াছিলেন। ডাঃ হর্ণলি প্রদত্ত অস্পষ্ট প্রতিলিপি হইতে, ডাঃ কীলহর্ণ গোয়ালিয়র শিলালিপির আংশিক পাঠোদ্ধার করিয়া, প্রকাশ করিয়াছিলেন যে, ইহাতে গুর্জ্জরপ্রতীহার বংশীয় বৎসরাজের পুত্র দ্বিতীয় নাগভট কর্ত্তৃক চক্রায়ুধ নামক এক রাজা পরাজিত হইয়াছিলেন[১]। এই সময়ে পণ্ডিত শ্রীযুক্ত হীরানন্দ শাস্ত্রী এই শিলালিপির সম্পূর্ণ উদ্ধৃত পাঠ ও প্রতিলিপি প্রকাশ করিয়াছিলেন। সাগরতালের শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, প্রতীহার বংশে নাগভট নামক এক রাজা জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন; কক্কুক এরং দেবরাজ নামক তাঁহার ভ্রাতুষ্পুত্রদ্বয় তাঁহার পরে সিংহাসন অধিকার করিয়াছিলেন। দেবরাজের পুত্র বৎসরাজ প্রতীহার-রাজ্যের অধিকার লাভ করিয়া ভণ্ডির বংশের সাম্রাজ্য লোপ করিয়াছিলেন। তাঁহার পুত্র দ্বিতীয় নাগভট অন্ধ্র, সিন্ধু, বিদর্ভ ও কলিঙ্গদেশের রাজগণকে পরাজিত

  1. Nachrichten von der Koniglichen Gesellschaft der Wissenschaften zu Gottingen, Philologische-historische Klasse, 1905, p. 301.