করিয়াছিলেন। অপরের আশ্রয়গ্রহণের জন্য যাঁহার নীচভাব প্রকাশ হইয়াছিল, দ্বিতীয় নাগভট সেই চক্রায়ুধকে এবং বহু হস্ত্যশ্বরথের অধিপতি বঙ্গপতিকেও পরাজিত করিয়াছিলেন। তিনি আনর্ত্ত, মালব, কিরাত, তুরুস্ক, বৎস এবং মংস্যদেশের রাজগণের গিরিদুর্গ-সমূহ অধিকার করিয়াছিলেন[১]। গোয়ালিয়র শিলালিপির চক্রায়ুধ যে ভাগলপুর তাম্রশাসনের চক্রায়ুধ, সে বিষয়ে পণ্ডিতগণের কোন সন্দেহই রহিল না। ইতিমধ্যে আর একখানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হওয়ায় ভাগলপুর তাম্রশাসনের চক্রায়ুধ ও গোয়ালিয়র শিলালিপির চক্রায়ুধের একত্ব সম্বন্ধে বিশ্বাস অধিকতর দৃঢ় হইল। ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে শ্রীযুক্ত দেবদত্ত রামকৃষ্ণ ভাণ্ডারকর, বরদা রাজ্যের চিত্রশালায় রক্ষিত রাষ্ট্রকূটবংশীয় তৃতীয় ইন্দ্রের দুইখানি তাম্রশাসনের পাঠোদ্ধারকালে প্রকাশ করিয়াছিলেন যে, তাঁহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অধ্যাপক ৺শ্রীধর রামকৃষ্ণ ভাণ্ডারকরের নিকটে রাষ্ট্রকূটরাজ তৃতীয় গোবিন্দের পুত্র, প্রথম অমোঘবর্ষের একখানি অপ্রকাশিত তাম্রশাসন রক্ষিত আছে। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, তৃতীয় গোবিন্দ যখন দিগ্বিজয় উপলক্ষে হিমালয় পর্ব্বতে গমন করিয়াছিলেন, তখন ধর্ম্ম ও চক্রায়ুধ নামক রাজদ্বয় তাঁহার নিকটে গিয়াছিলেন[২]। অধ্যাপক ৺শ্রীধর রামকৃষ্ণ ভাণ্ডারকর এই তাম্রশাসনের কিয়দংশের পাঠোদ্ধার করিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, তৃতীয় গোবিন্দ নাগভট নামক একজন রাজাকে পরাজিত করিয়াছিলেন এবং ধর্ম্মপাল ও চক্রায়ুধ স্বয়ং আসিয়া তাঁহার নিকটে নতশির হইয়াছিলেন[৩]। ভাগল-
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮২
বাঙ্গালার ইতিহাস।