পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
১৮৩

পুরে আবিষ্কৃত নারায়ণপালের তাম্রশাসন, সাগরতলের শিলালিপি ও প্রথম অমোঘবর্ষের তাম্রশাসন হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, গৌড়েশ্বর ধর্ম্মপাল, কান্যকুব্জপতি চক্রায়ুধ, গুর্জ্জর-প্রতীহার বংশের দ্বিতীয় নাগভট ও দাক্ষিণাত্যরাজ তৃতীয় গোবিন্দ সমসাময়িক ব্যক্তি ছিলেন। দ্বিতীয় নাগভটের একখানি শিলালিপি যোধপুর-রাজ্যের ‘বিলাডা’ জিলায় ‘বুচকলা’ গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, ৮৭২ বিক্রমাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লাপঞ্চমীতে মহারাজাধিরাজ পরম ভট্টারক পরমেশ্বর শ্রীনাগভটদেবের রাজ্যে ‘রাজ্যঘঙ্গক’ গ্রামে রাজ্ঞী জয়াবলী কর্ত্তৃক একটি দেবগৃহ নির্ম্মিত হইয়াছিল[১]। এই নাগভট যে দ্বিতীয় নাগভট সে বিষয়ে কোন সন্দেহই নাই, কারণ বুচকলা লিপিতে উক্ত হইয়াছে যে, নাগভট মহারাজাধিরাজ বৎসরাজদেবের উত্তরাধিকারী[২]। রাষ্ট্রকূট তৃতীয় গোবিন্দ ধ্রুব ধারাবর্ষের পুত্র। তিনি ৭১৬ শকাব্দের (৭৯৪ খৃষ্টাব্দের) পূর্ব্বে সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন, কারণ উক্ত বর্ষে তিনি দাক্ষিণাত্যস্থিত প্রতিষ্ঠান নগরী হইতে গোদাবরী নদীতে স্নান করিয়া বৈশাখ মাসের অমাবস্যা তিথিতে সূর্য্যগ্রহণোপলক্ষে কয়েকজন ব্রাহ্মণকে একখানি গ্রাম দান করিয়াছিলেন[৩]। ইহার দশ বৎসর পরে গোবিন্দ কাঞ্চীরাজ পল্লব-বংশীয় দন্তিগকে পরাজিত করিয়া রাজস্ব সংগ্রহের জন্য তুঙ্গভদ্রাতীরে রামেশ্বরতীর্থে গমন করিয়াছিলেন এবং সেই সময় শিবধারী নামক একজন “গোরব” বা পুরোহিতকে একখানি গ্রাম দান করিয়াছিলেন[৪]। ৭৩০ শকাব্দে (৮০৮ খৃষ্টাব্দে) গোবিন্দ

  1. Epigraphia Indica, Vol. IX, pp. 199-200.
  2. Ibid, p. 200.
  3. Ibid, Vol III, p. 105.
  4. Indian Antiquary, Vol. XI. p. 126.