করেন, “ভগদত্ত-বংশীয় প্রলম্বের প্রপৌত্র জয়মাল-বীরবাহু সম্ভবতঃ এই সময়ে প্রাগ্জ্যোতিষের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন[১]।” খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীতে গৌড় দেশ কাম্বোজ জাতি কর্ত্তৃক অধিকৃত হইয়াছিল, দিনাজপুরে বাণগড় নামক স্থানে কাম্বোজ-বংশজাত জনৈক গৌড়পতির উল্লেখ আছে[২]। দেবপালদেবের রাজ্যকালে কাম্বোজগণ বোধ হয়, হিমালয় হইতে অবতরণ করিয়া গৌড়দেশ অধিকার করিবার চেষ্টা করিয়াছিল এবং সেই সময়ে দেবপাল বোধ হয়, তাহাদিগকে পরাজিত করিয়াছিলেন। মুঙ্গেরে আবিষ্কৃত তাম্রশাসনে দেখিতে পাওয়া যায় যে, দেবপাল “একদিকে হিমালয়, অপর দিকে শ্রীরামচন্দ্রের কীর্ত্তিচিহ্ন সেতুবন্ধ, একদিকে বরুণ-নিকেতন, অপর দিকে লক্ষ্মীর জন্মনিকেতন [ক্ষীরোদ সমুদ্র,]—এই চতুঃসীমাবচ্ছিন্ন সমগ্র ভূমণ্ডল নিঃসপত্নভাবে উপভোগ করিয়াছেন[৩]।” অদ্যাবধি দেবপালের রাজত্বকালের একখানি শিলালিপি ও দুইখানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে। প্রথম তাম্রশাসনখানি মুদ্গগিরি অর্থাৎ মুঙ্গের হইতে দেবপালের ৩৩ রাজ্যাঙ্কে সম্পাদিত হইয়াছিল। এতদ্বারা শ্রীনগরভুক্তির (অর্থাৎ পাটলিপুত্রের) ক্রিমিলা বিষয়ান্তঃপাতী মেষিকা গ্রাম ভট্ট বিশ্বরাতের পৌত্র ভট্ট বরাহরাতের পুত্র ভট্টপ্রবর শ্রীবীহেকরাত মিশ্রকে প্রদত্ত হইয়াছিল। দেবপালের একমাত্র পুত্র রাজ্যপাল এই তাম্রশাসনের দূতক[৪]। দ্বিতীয় তাম্রশাসনখানি পাটনা জিলায় অবস্থিত বড়গাঁও গ্রামে নালন্দ ব নালন্দার ধ্বংসাবশেষ-খননকালে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মধ্যচক্রের অধ্যক্ষ বন্ধুবর পণ্ডিত শ্রীযুক্ত হীরানন্দ শাস্ত্রী ইহার
পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/২২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৮
বাঙ্গালার ইতিহাস।