উল্লেখ নাই! তাঁহার সূর্য্য হইতে ‘চন্দ্র’রূপে উদ্ভূত বলিয়া এবং তজ্জন্য তাঁহাতে ‘কলাময়ত্বের’ আরোপ করিবার সুযোগ পাইয়া কবি ইঙ্গিতে তাঁহার ভাগ্যবিপর্য্যয়ের আভাস প্রদান করিয়া থাকিবেন। তাঁহার সেনা-গজেন্দ্রগণের (আশ্রয়স্থানাভাবে) নানা স্থানে পরিভ্রমণ করিয়া, শিশির সংক্ষুদ্ধ হিমাচলের অধিত্যকায় আশ্রয় লাভের কথায় এবং মহীপালদেবের ‘অনধিকৃত্য-বিলুপ্ত’ পিতৃরাজ্য পুনঃ প্রাপ্তির কথায়, দ্বিতীয় বিগ্রহপালদেবের শাসনসময়েই পালসাম্রাজ্যের প্রথম ভাগ্যবিপর্য্যয়ের পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যাইতে পারে[১]।” মৈত্রেয় মহাশয়ের উক্তি সম্পূর্ণরূপে বিজ্ঞানসম্মত।
প্রথম মহীপালদেব পাল-রাজবংশের দ্বিতীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। পূর্ব্ব অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে যে, মহীপালের পিতা দ্বিতীয় বিগ্রহপালের রাজ্যকালে বরেন্দ্রী বা উত্তর-বঙ্গ কাম্বোজ জাতি কর্ত্তৃক অধিকৃত হইয়াছিল, এবং সম্ভবতঃ চন্দেল্লবংশীয় যশোবর্ম্মার সাহায্যে গুর্জ্জর-রাজ মহীপাল মগধ পুনরধিকার করিয়াছিলেন। সুতরাং মহীপালদেব, পিতার মৃত্যুর পরে, রাঢ় ও বঙ্গদেশের কিয়দংশের অধিকার মাত্র, উত্তরাধিকার-সূত্রে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। মহীপাল স্বয়ং বরেন্দ্রী, মগধ ও তীরভুক্তি, এমন কি, বারাণসী পর্য্যন্ত অধিকার করিয়াছিলেন। মহীপালদেবের রাজত্বের তৃতীয় বর্ষের পূর্ব্বে বঙ্গ বা সমতট অধিকৃত হইয়াছিল[২]। কেহ কেহ অনুমান করেন যে, গৌড় হইতে তাড়িত হইয়া পালরাজগণ সমতটে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন[৩]। মহীপালদেবের ষষ্ঠ রাজ্যাঙ্কের পূর্ব্বে