-বিষয়ে নালন্দায় গ্রহণকুণ্ড নামক জনৈক লেখক কর্ত্তৃক একখানি অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা গ্রন্থ লিখিত হইয়াছিল:—
“মহারাজাধিরাজপরমেশ্বরপরমভট্টারকপমসৌগত শ্রীমদ্রামপালদেবপ্রবর্দ্ধমানবিজয়রাজ্যে পঞ্চদশমে সম্বৎসরে অভিলিখ্যমানে যত্রাঙ্কেনাপি সম্বৎ ১৫ বৈশাক্ষ দিনে কৃষ্ণ সপ্তম্যাং ৭ অস্তি মগধবিষয়ে শ্রীনালন্দাবস্থিত লেখক গ্রহণকুণ্ডেন ভট্টারিকা প্রজ্ঞাপারমিতা লিখিতা ইতি”[১]। রামপালদেবের ৪২শ রাজ্যাঙ্কে রাজগৃহবিনির্গত এত্রহাগ্রামবাসী বণিক্ সাধু সহরণ একটি বোধিসত্ত্বমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন[২]। এই মূর্ত্তিটি পাটনা জেলার গিরিয়েক পর্ব্বতের নিকটে চণ্ডীমৌ গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৩] এবং ইহা এক্ষণে কলিকাতার চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। সন্ধ্যাকরনন্দীবিরচিত রামচরিত আবিষ্কৃত হইবার পূর্ব্বে রামপালদেবের রাজত্বকালের কোন ঘটনাই বিদিত ছিল না। ডাক্তার ভিনিস্ (Dr. A. Venis) রামপালের মধ্যম পুত্র কুমারপালের মন্ত্রী, কামরূপ-রাজ বৈদ্যদেবের তাম্রশাসন সম্পাদনকালে রামপালের রাজত্বকালের ঘটনাসমূহের বিবরণের অভাব অনুভব করিয়াছিলেন[৪]। রামচরিত আবিষ্কৃত হইয়া প্রকাশিত হইবার পরে রামপালদেবের রাজত্বকাল নির্ণয় এবং সেই সময়ের ঘটনাবলীর বিবরণ সংগ্রহ করা সম্ভব হইয়াছে।
‘রামচরিত’ মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্ত্তৃক ১৮৯৭