পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০০
বাঙ্গালার ইতিহাস।

মহাস্থানগড়ের নিকট রামপুর নামক স্থানে রামাবতীর অবস্থান নির্দ্দেশ করিয়াছেন[১]। প্রাচীন রামাবতী, সরকার জন্নতাবাদ বা গৌড়ের সীমামধ্যে অবস্থিত ছিল এবং তাহার ধ্বংসাবশেষ কখনই ঢাকা অথবা বগুড়া জেলায় আবিষ্কৃত হইতে পারে না[২]। বগুড়া, সরকার ঘোড়াঘাটে[৩] এবং সরকার বাজুহায়[৪] অবস্থিত এবং রামপাল, সরকার সোণারগাঁওয়ে[৫] অবস্থিত।

 তিব্বতদেশীয় ইতিহাসকার লামা তারানাথের মতানুসারে যক্ষপাল নামক একজন রাজা রামপালের সিংহাসনের সমাধিকারী ছিলেন[৬]। গয়ায় যক্ষপাল নামক একজন নরপতির একখানি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা হইতে অবগত হওয়া যায় যে, শূদ্রকের পৌত্র, বিশ্বাদিত্যের পুত্র, যক্ষপাল সূর্য্যদেবের জন্য একটি মন্দির নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন[৭]। যক্ষপালের পিতা বিশ্বাদিত্য নয়পালদেবের পঞ্চদশ রাজ্যাঙ্কে জনার্দ্দন ও গদাধরের মন্দির এবং তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের পঞ্চম রাজ্যাঙ্কে বটেশ ও প্রপিতামহেশ্বর মন্দির নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। তারানাথ যক্ষপালকে রামপালের পুত্ররূপে বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। অনুমান হয়, যক্ষপাল তৃতীয় বিগ্রহপালের মৃত্যুর পরে কিয়ৎকাল স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়াছিলেন, এবং সেই জন্যই তিনি গয়ার শিলালিপিতে নরেন্দ্র উপাধিতে অভিহিত হইয়াছেন।

  1. বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (রাজন্যকাণ্ড), পৃঃ ২০৯।
  2. Ain-i-Akbari (Jarrett’s Trans,), vol. II, p. 131.
  3. Ibid, p. 135.
  4. Ibid. pp. 337-38.
  5. Ibid, pp. 138-39.
  6. Indian Antiquary, Vol. IV, p. 366.
  7. Ibid, Vol. XVI, p. 64.