রাজ্যকালের একখানি শিলালিপি শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় কর্ত্তৃক রাজসাহী জেলার অন্তর্গত মান্দাগ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছে[১]। ইহা এক্ষণে কলিকাতার চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। শিল্পীর অসাবধানতার জন্য এই শিলালিপিটি ভ্রম পরিপূর্ণ এবং ইহার অনুবাদ করা অসম্ভব।
মদনপালদেবের রাজত্বকালে পাল-সাম্রাজ্য, মগধ ও উত্তরবঙ্গে সীমাবদ্ধ ক্ষুদ্ররাজ্যে পরিণত হইয়াছিল। মগধের পূর্ব্বাংশ মাত্র এই সময়ে গৌড়েশ্বরের অধীন ছিল। তৃতীয় গোপালদেবের মৃত্যুর পরে বৈদ্যদেব কামরূপের স্বাধীন রাজা হইয়াছিলেন। তাঁহার চতুর্থ রাজ্যাঙ্কে প্রদত্ত তাম্রশাসন হইতে অবগত হওয়া যায় যে, উহা সম্পাদন কালে তিনি পরমমাহেশ্বর-পরমবৈষ্ণব-মহারাজাধিরাজ-পরমেশ্বর-পরমভট্টারক উপাধি গ্রহণ করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত রাঢ় ও বঙ্গ বিজয়সেনের হস্তগত হইয়াছিল। বিজয়সেন ক্রমে গঙ্গাপার হইয়া বরেন্দ্রীর দক্ষিণাংশ অধিকার করিয়াছিলেন। রাজশাহী জেলার অন্তর্গত দেবপাড়া গ্রামে আবিষ্কৃত উমাপতিধর রচিত বিজয়সেনের প্রশস্তিতে তৎকর্ত্তৃক গৌড়েশ্বরের পরাজয়ের উল্লেখ আছে[২]। বিজয়সেন বোধ হয় মদনপালদেবের অষ্টম রাজ্যাঙ্কের পরবর্ত্তী সময়ে সমগ্র বরেন্দ্রভূমি অধিকার করিয়াছিলেন এবং পাল-রাজগণকে চিরকালের জন্য তাঁহাদিগের পিতৃভূমি বরেন্দ্রী হইতে নির্ব্বাসিত করিয়াছিলেন। মদনপাল এই সকল যুদ্ধে কান্যকুব্জের গাহডবাল রাজবংশের রাজগণের নিকটে বিশেষ সাহায্য লাইয়া-