শেষভাগে মগধ সেন-রাজ্যভুক্ত হইয়াছিল, কারণ বুদ্ধগয়ায় দুইখানি শিলালিপিতে লক্ষ্মণসেনের রাজ্যাভিষেককালে প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মণাব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে[১]। তাঁহার রাজত্বের শেষভাগে গোবিন্দপালদেব নামক জনৈক রাজা মগধের কিয়দংশের রাজা হইয়াছিলেন।
লক্ষ্মণসেনদেবের পাঁচখানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে। তাঁহার রাজত্বকালের তৃতীয় বর্ষে ভাদ্রমাসের তৃতীয় দিবসে তিনি হেমাশ্বরথ দানের দক্ষিণাস্বরূপ পৌণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তির অন্তঃপাতী বরেন্দ্রমণ্ডলে বেলহিষ্টী গ্রাম “শ্রীমদ্বিক্রমপুর সমাবাসিত জয়স্কন্ধাবার হইতে” ঈশ্বরদেবশর্ম্মা নামক জনৈক ভরদ্বাজ গোত্রীয় ব্রাহ্মণকে প্রদান করিয়াছিলেন[২]। দিনাজপুর জেলায় তর্পণদীঘি গ্রামে এই তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছিল এবং ইহা এখন বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের চিত্রশালায় রক্ষিত আছে। তাঁহার তৃতীয় রাজ্যাঙ্কের ভাদ্রমাসের নবম দিবসে তিনি পৌণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তির অন্তঃপাতী ব্যাঘ্রতটী গ্রাম কৌশিক গোত্রীয় যজুর্ব্বেদীয় রঘুদেবশর্ম্মাকে প্রদান করিয়াছিলেন। এই তাম্রশাসনখানি নদীয়া জেলায় আনুলিয়া গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয় ইহা ক্রয় করিয়াছেন[৩]। পাবনা জেলার অন্তর্গত মাধাইনগর গ্রামে লক্ষ্মণসেনদেবের তৃতীয় তাম্রশাসনখানি আবিষ্কৃত হইয়াছিল। এই তাম্রশাসনের শেষাংশ ক্ষয় হইয়া যাওয়ায় ইহা কোন্ বর্ষে সম্পাদিত হইয়াছিল, তাহা নির্ণয় করিতে পারা যায় নাই। এতদ্বারা লক্ষ্মণসেন পৌণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তির