অন্তঃপাতী বরেন্দ্রমণ্ডলে কিঞ্চিৎ ভূমি কৌশিক গোত্রীয় গোবিন্দদেবশর্ম্মাকে প্রদান করিয়াছিলেন[১]। লক্ষ্মণসেনদেবের চতুর্থ তাম্রশাসনখানি সুন্দরবনে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ৺ রামগতি ন্যায়রত্ন ইহার আংশিক পাঠোদ্ধার করিয়াছিলেন[২]। এখন আর ইহার সন্ধান পাওয়া যায় না। লক্ষ্মণসেনদেবের পঞ্চম তাম্রশাসনখানি চব্বিশ পরগণা জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। অধ্যাপক শ্রীযুক্ত অমূল্যচরণ ঘোষ বিদ্যাভূষণ ইহার পাঠ বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের এক মাসিক অধিবেশনে পাঠ করিয়াছিলেন, কিন্তু ইহার উদ্ধৃত পাঠ অদ্যাবধি প্রকাশিত হয় নাই; লক্ষ্মণসেনের তৃতীয় রাজ্যাঙ্কে বঙ্গে ‘অধিকৃত’ নারায়ণ কর্ত্তৃক একটি পাষাণময়ী চণ্ডী-মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল[৩]।
লক্ষ্মণসেনদেবের রাজত্বকাল সেন-রাজবংশের চরম উন্নতির সময়। ধোয়ী, জয়দেব, প্রভৃতি কবিগণ তাঁহার সভা অলঙ্কৃত করিতেন। লক্ষ্মণসেন স্বয়ং সুকবি ছিলেন। তাঁহার অমাত্য বটুদাসের পুত্র শ্রীধরদাস কর্ত্তৃক সংগৃহীত ‘সদুক্তিকর্ণামৃতে’ তাঁহার রাজত্বকালের কবিগণের বহু শ্লোক দেখিতে পাওয়া যায়। রামপালদেবের রাজত্বকাল হইতে গৌড়ীয় ভাস্কর শিল্পের পুনরুন্নতি আরব্ধ হইয়াছিল। লক্ষ্মণসেনের সময়ে গৌড়ীয় শিল্প উন্নতির অতি উচ্চ সোপানে আরোহণ করিয়াছিল। এই যুগের নিদর্শনগুলি প্রথম পাল-সাম্রাজ্যের শিল্প-নিদর্শনসমূহের সমতুল না হইলেও তদপেক্ষা অধিক হীন নহে। লক্ষ্মণসেনদেব প্রায় ত্রিংশৎ বর্ষ