কাল গৌড়-সিংহাসনে আসীন ছিলেন। ১১৭০ খৃষ্টাব্দের পূর্ব্বে তাঁহার মৃত্যু হইয়াছিল।
লক্ষ্মণসেনদেবের রাজ্যাভিষেককাল হইতে একটি নূতন অব্দ গণনা আরম্ভ হইয়াছিল। ইহা ‘লক্ষ্মণাব্দ’, ‘লক্ষ্মণ সংবৎ’ বা ‘লসং’ নামে পরিচিত। মুসলমান-বিজয়ের পরে এই অব্দ বহুকাল মিথিলায় ব্যবহৃত হইয়াছিল এবং শুনিতে পাওয়া যায় যে, বর্ত্তমান সময়েও ইহা সময়ে সময়ে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। জগদ্বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ্ স্বর্গীয় ডাঃ কিলহর্ণ গণনা করিয়া স্থির করিয়াছেন যে, এই অব্দ ১১১৮-১৯ খৃষ্টাব্দ হইতে গণিত হইতেছে[১]। লক্ষ্মণাব্দের উৎপত্তি সম্বন্ধে পণ্ডিতগণের মধ্যে মতভেদ আছে। ডাঃ কিলহর্ণের মতই ইহার মধ্যে সমীচীনতর বলিয়া বোধ হয়। এই অনুসারে লক্ষণসেনদেবের অভিষেককাল হইতে লক্ষ্মণাব্দ গণিত হইয়াছে[১]। দ্বিতীয় মত, প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ্ স্বর্গীয় মনোমোহন চক্রবর্ত্তী কর্ত্তৃক প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল; চক্রবর্ত্তী মহাশয় বলেন যে, সামন্তসেনের রাজ্যাভিষেক কাল হইতে লক্ষ্মণাব্দ গণিত হইতেছে[২]। তৃতীয় মত, তিব্বতদেশীয় ইতিহাসকার লামা তারানাথ কর্ত্তৃক প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল, তদনুসারে লক্ষ্মণাব্দ হেমন্তসেনের রাজ্যাভিষেক কাল হইতে গণিত হইতেছে[৩]। চতুর্থ মত, ৺ভিন্সেণ্ট স্মিথ কর্ত্তৃক প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল, তদনুসারে বিজয়সেনের রাজ্যাভিষেক কাল হইতে লক্ষ্মণাব্দ গণিত হইতেছে[৪]। পঞ্চম মতানুসারে লক্ষ্মণাব্দ দুইটি, প্রথমটি ১১১৯ খৃষ্টাব্দ