পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস প্রথম ভাগ (রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায়).djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একাদশ পরিচ্ছেদ।
৩৩৫

pleasure to meet with such scholarly historical research, on which I congratulate you.

—Letter, dated, 3rd January, 1914.

 পরম স্নেহাস্পদ অধ্যাপক শ্রীমান্ ননীগোপাল মজুমদার সম্প্রতি লক্ষ্মণসেনের অব্দ সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া প্রমাণ করিয়াছেন যে, লক্ষ্মণাব্দ নিশ্চয়ই লক্ষ্মণসেনের রাজ্যকাল হইতে গণিত।—Indian Antiquary, Vol. XLVIII, 1919, pp. 171-76.

 অধ্যাপক শ্রীযুক্ত অমূল্যচরণ ঘোষ বিদ্যাভূষণ গোবিন্দপুরে আবিষ্কৃত লক্ষ্মণসেনের তাম্রশাসনের দুইখানি ফটোগ্রাফ গ্রন্থের একাদশ পরিচ্ছেদ মুদ্রণকালে গ্রন্থকারকে দিয়াছিলেন। তর্পণদীঘির ও আনুলিয়ার তাম্রশাসনের ন্যায় এই তাম্রশাসনখানাও লক্ষ্মণসেনের তৃতীয় রাজ্যাঙ্কে প্রদত্ত হইয়াছিল। ইহা লক্ষ্মণসেনের অন্যান্য তাম্রশাসনের ন্যায় বিক্রমপুর সমাবাসিত জয়স্কন্ধাবার হইতে প্রদত্ত এবং মহাসান্ধিবিগ্রহিক নারায়ণদত্ত এই তাম্রশাসনের দূতক। এই তাম্রশাসন দ্বারা লক্ষ্মণসেনদেব বর্দ্ধমানভুক্তির অন্তর্গত পশ্চিম খাটিকায় বেতড্ড চতুরষ্কে ৬০ দ্রোণ ১৭ উন্মান ভূমি বাৎস্যগোত্রীয় শ্রীব্যাসদেবশর্ম্মাকে প্রদান করিয়াছিলেন। তখন এক দ্রোণ পরিমাণ ভূমির বাৎসরিক আয় ১৫ পূরাণ বা রজতমুদ্রা ছিল এবং এক নলের পরিমাণ ৬৫ হস্ত ছিল। বেতড্ড বর্ত্তমান হাওড়া জেলায় অবস্থিত বেতড় গ্রাম। বেতড় কলিকাতার উৎপত্তির পূর্ব্বকাল পর্য্যন্ত একটি বিখ্যাত গঞ্জ ছিল। বড় বড় বিলাতী জাহাজ ভাগীরথী বহিয়া সপ্তগ্রাম পর্য্যন্ত পৌঁছিতে পারিত না বলিয়া বেতড়ে আসিয়া নোঙ্গর করিত এবং বিলাতী জাহাজ ভারতীয় মাল বোঝাই করিয়া চলিয়া গেলে লোকে বাজার পুড়াইয়া দিয়া চলিয়া যাইত। গঙ্গার দক্ষিণে ও ভাগীরথীর পশ্চিমে অবস্থিত ভূখণ্ডের নাম বর্দ্ধমানভুক্তি। এই তাম্রশাসনে তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়, কারণ প্রদত্ত ভূমির পূর্ব্ব সীমায় জাহ্নবী। পূর্ব্বে বল্লালসেনের তাম্রশাসনে প্রদত্ত উত্তর-রাঢ়ামণ্ডলের বাল্লহিট্টগ্রাম এই বর্দ্ধমানভুক্তিতে অবস্থিত।

 অধ্যাপক শ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য “লক্ষ্মণসেন ও তাঁহার পূর্ব্বপুরুষগণের তারিখ” সম্বন্ধে একটি সুদীর্ঘ প্রবন্ধ লিখিয়াছেন। ভট্টাচার্য্য মহাশয় এই প্রবন্ধে দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন যে, দানসাগরে ও অদ্ভুতসাগরে বল্লালসেনের যে তারিখ দেওয়া আছে তাহাই ঠিক, কারণ লক্ষ্মণসেনের বন্ধু ও সামন্ত বটুদাসের পুত্র শ্রীধরদাস রচিত “সদুক্তিকরণামৃত” ১২০৬ খৃষ্টাব্দে রচিত হইয়াছিল। ভট্টাচার্য্য মহাশয় ইহা বুঝাইতে পারেন নাই যে, লক্ষ্মণসেন