বাল-বংশীয় রাজগণের বিবাদ চলিতেছিল। পূর্ব্বে কথিত হইয়াছে যে, ১৪৪৬ খৃষ্টাব্দে গোবিন্দচন্দ্রদেব মুদ্গগিরি বা মুঙ্গের পর্য্যন্ত অগ্রসর হইয়াছিলেন। ১১৬৫ খৃষ্টাব্দে পাটনা জেলার বিহার মহকুমায় অবস্থিত নালন্দনগর গোবিন্দপাল নামক জনৈক নরপতির অধিকারভুক্ত ছিল। উক্ত বর্ষে নালন্দায় লিখিত একখানি ‘অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ লণ্ডনের রয়েল এসিয়াটীক সোসাইটীর গ্রন্থাগারে রক্ষিত আছে; এই গ্রন্থের পুষ্পিকায় লিখিত আছে যে, ইহা নালন্দায় গোবিন্দপালদেবের চতুর্থ রাজ্যাঙ্কে লিখিত হইয়াছিল।
“পরমেশ্বরপরমভট্টারকপরমসৌগত মহারাজাধিরাজশ্রীমদ্গোবিন্দপালদেবস্য বিজয়রাজ্যে সম্বৎসরে ৪ শূন্যোদকগ্রামবাস্তব্য শ্রীমন্নালন্দ......মস্তু সর্ব্বজগতাম্[১]॥”
গোবিন্দপালদেবের চতুর্থ রাজ্যাঙ্ক ১১৬৫ খৃষ্টাব্দে পতিত হইয়াছিল; কারণ ১২৩২ বিক্রমাব্দে গয়ায় উৎকীর্ণ একখানি শিলালিপি হইতে অবগত হওয়া যায় যে, উহা গোবিন্দপালদেবের চতুর্দ্দশ রাজ্যাঙ্কে উৎকীর্ণ হইয়াছিল[২]। ১১৭০ খৃষ্টাব্দে বুদ্ধগয়া সেন-বংশীয় রাজগণের অধিকারভুক্ত ছিল; কারণ উক্ত বর্ষে সপাদলক্ষদেশের রাজা অশোকচল্লদেবের মহাবোধি মন্দিরের একখানি শিলালিপিতে লক্ষ্মণাব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে[৩]। ১১৮৩ হইতে ১১৯২ খৃষ্টাব্দের মধ্যে কোন সময়ে বুদ্ধগয়া কান্যকুব্জ-রাজ জয়চ্চন্দ্রের অধিকারভুক্ত হইয়াছিল। ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে বুদ্ধগয়া পুনরায় সেন-রাজগণ কর্ত্তৃক অধিকৃত হইয়াছিল; কারণ উক্ত বর্ষে উৎকীর্ণ সপাদ-