আবিষ্কৃত হইয়াছে। ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে হুগলী জেলার মহানাদ গ্রামে স্কন্দগুপ্তের আর একটি সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[১]। কনিংহাম গয়া হইতে এই জাতীয় একটি সুবর্ণমুদ্রা সংগ্রহ করিয়াছিলেন[২]। এই তিনটি মুদ্রাই ধনুর্ব্বাণহস্তে রাজমূর্ত্তিযুক্ত সুবর্ণমুদ্রা। ১৯০৪ খৃষ্টাব্দে মেদিনীপুর জেলায় রাজা ও রাজলক্ষ্মীযুক্ত স্কন্দগুপ্তের একটি সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৩]। ফরিদপুর জেলায় স্কন্দগুপ্তের আর একটি সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৪]। যশোহর জেলায় মহম্মদপুর গ্রামে তাঁহার কতকগুলি রজতমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৫]।
কিরূপে কিভাবে স্কন্দগুপ্তের রাজ্য শেষ হইয়াছিল তাহা বলিতে পারা যায় না। সাত বৎসর পূর্ব্বে, ঐতিহাসিক-সমাজের মতানুসারে, স্কন্দগুপ্ত দীর্ঘকাল রাজত্ব করিয়া, ৪৮০ খৃষ্টাব্দে অথবা তন্নিকটবর্ত্তী কোন সময়ে দেহত্যাগ করিয়াছিলেন; কিন্তু এই সাতবৎসরের মধ্যে অনেকগুলি শিলালিপি ও তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হওয়ায় এই মত পরিবর্ত্তিত হইয়াছে। ১৪৮ গৌপ্তাব্দে (৪৬৭-৬৮ খৃঃ অব্দ) মুদ্রিত স্কন্দ্রগুপ্তের একটি রজতমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে[৬]। ইহার পরে স্কন্দগুপ্তের রাজ্যের আর কোন নিদর্শন পাওয়া যায় নাই। ১৯১৫ খৃষ্টাব্দে
- ↑ Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, 1882, p. 91; Journal of the Royal Asiatic Society, 1889. p. 112.
- ↑ Ibid.
- ↑ Catalogue of Coins in the Indian Museum, p. 127. no 7.
- ↑ গৌড়রাজমালা, পৃঃ ৫।
- ↑ Journal of the Asiatic Society of Bengal, Vol. XXI. p. 401.
- ↑ Catalogue of Indian Coins, Gupta dynasties, p. cxxxviii; Journal of the Royal Asiatic Society, 1889, p. 134.