ছিলেন, অতএব তাঁহার নরসিংহগুপ্তের সমসাময়িক ব্যক্তি হওয়া এক প্রকার অসম্ভব। কোন্ সময়ে কি ভাবে নরসিংহগুপ্তের মৃত্যু হইয়াছিল তাহা বলিতে পারা যায় না। নরসিংহগুপ্তের কোন শিলালিপি বা তাম্রশাসন অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় বাই। ভিটরী গ্রামে আবিষ্কৃত তাঁহার পুত্র দ্বিতীয় কুমারগুপ্তের তাম্রশাসন হইতে জানিতে পারা যায় যে তাঁহার পত্নীর নাম মহালক্ষ্মী দেবী[১]। ভারতবর্ষের নানাস্থানে নরসিংহগুপ্তের মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইংরাজরাজ্যের প্রথম যুগে ওয়ারেণ হেষ্টিংসের শাসনকালে কালীঘাটে নরসিংহগুপ্তের কতকগুলি সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[২]। ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে নদীয়া জেলার রাণাঘাট মহকুমায় নরসিংহগুপ্তের একটি সুবর্ণমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছিল[৩]। বীরভূম জেলার অন্তর্গত নান্নুর গ্রামে আবিষ্কৃত নরসিংহগুপ্তের একটি সুবর্ণমুদ্রা উক্ত গ্রামবাসী শ্রীযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের নিকট আছে।
নরসিংহগুপ্তের মৃত্যুর পরে তাঁহার পুত্র দ্বিতীয় কুমারগুপ্ত সিংহাসনারোহণ করিয়াছিলেন। যুক্তপ্রদেশের গাজীপুর জেলায় ভিটরী গ্রামে দ্বিতীয় কুমারগুপ্তের রাজকীয় মুদ্রা (শিল) আবিষ্কৃত হইয়াছে, ইহা তাম্রমিশ্রিত রজতের উপরে মুদ্রিত[৪]। ১৭৮৩ খৃষ্টাব্দে