{ ১৭২ } করিয়া সত্বরে মুরসিদাবাদে আসিলেন কিন্তু তথায় একদিন মাত্র থাকিয় ঐ বালকের অনৃেষণার্থে চলিলেন । সেরাজ উদ্দৌলা পাটনার সম্মুখে আসিয়৷ জানকীরামকে ঐস্থান ত্যাগ করিতে আজ্ঞাকরিলেন ঐ নায়েব শাসনকৰ্ত্ত জানিতেন যে যদি তিনি ঐ নগর ত্যাগ করেন তবে শুবাদারের অসন্তোষ হইবে কিন্তু যদি ঐ বালক মারাপড়েন তবে শুবাদার তাহাকে কদাচ ক্ষমাকরিবেন না তাহাতে তাহার পরম সন্তোষ হইল যে সেরাজ উদ্দৌলা ভীত হইয়৷ অতিদূরে রহিলেন তাহার ষষ্টিজন সাহসী অনুগত লোকের ঐ নগরের চত্তদিগে যে এক মৃন্ময়ভিত্তি ছিল তাহার কিয়দ৭শ ভগ্ন করিয়া তন্মধ্যে প্রবেশ করিলেন কিন্তু তথাকার রক্ষকের বাধা দেওয়াতে বীরত্তল যুদ্ধ করিয়৷ অবশেষে মারাপড়িলেন তাহাদের প্রভূ পশ্চাৎ২ আসিয়াছিলেন কিন্তু যুদ্ধকালে অতিদূরে এক গৃহমধ্যে পলায়ন করিয়াছিলেন ঐ নায়েব শাসনকৰ্ত্ত তথা হইতে র্তাহাকে কোন আঘাত ব্যতিরেক রুদ্ধকরিয়া নিরাপদে পুরীমধ্যে আনিলেন । আলিবদি এই বৃত্তান্ত শুনিয়া আনন্দমধ্যে এমত ক্রুদ্ধ হইলেন যে নিজ ভূতাদিগকে উপহাস করিলেন তিনি ঐ বিদ্রোহাচারি দৌহিত্রকে দেখিতে এমত বাগ হইলেন যে কোন উপপতি তাহার উপপত্নীকে দেখিতে তাদৃশ কদাচ
