পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ * $$4 খৃষ্টাব্দে) ফিরোজ শাহের পৌত্র মহম্মদ শাহের পুত্র, মহম্মদ শাহের রাজাকালে জলীল-উল-হক কর্তৃক নির্মিত একটি পুরাতন মসজিদ হন্মাদ খাতীর কর্তৃক পুনঃসংস্কৃত হইয়াছিল ৮ । জিয়া-উল-হক, মহম্মদ শাহ এবং মহম্মদ শাহের রাজ্যকালে, বিহার প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন । এই সময়ে জৌনপুরের মালিক সরওর প্রকৃতপক্ষে বিহারের অধীশ্বর ছিলেন । ৭১৯ হিজরায় (১৩৯৭ খৃষ্টাব্দে ) বিহার নগরে একটি উপাসনা-কক্ষ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এই কক্ষের শিলালিপিতে নসরৎ শাহের পরিবর্তে মহমুদ শাহের নাম আছে ৮৮, কারণ মালিকৃ সরওর নসরৎ শাহের অধীনতা স্বীকার করিতেন না । খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতে তৃতীয়পাদ পর্য্যন্ত বিহারপ্রদেশ জৌনপুরের সুলতানগণের অধিকারভুক্ত ছিল । Mসিকন্দর শাহের মৃত্যুর পরে তাহার পুত্র গিয়াসূ-উদ্দীন আজম শাহ গোঁড় ও বঙ্গের অধিকার লাভ কবিয়াছিলেন । এই সময় হইতে রিয়াজ-উস্সালাতন, তবকাৎ-ই-আকৃবরী এবং তারিখ-ই-ফেরেশতা ব্যতীত মুসলমানরচিত অপর কোন ইতিহাসে বাঙ্গালাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর বিবরণ দেখিতে পাওয়া যায় না । রিয়াজ-উস্-সালাতন অনুসারে গিয়াস্-উদ্দীন আজম শাহ সিংহাসনপ্রাপ্তির পরে বৈমাত্রেয় ভ্রাতৃগণের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করিয়া দিয়াছিলেন ৮১ । তাহার রাজ্যকালের অন্য কোন ঘটনা জানিতে পারা যায় নাই । গিয়াস্-উদ্দীন একবার অত্যন্ত পীড়িত হইয়া পড়িয়া সৰ্ব্ব, গুল ও লাল নামী অবরোধবাসিনীত্রয়কে তাহার মৃত্যুর পরে শব ধৌতকরণের ভার দিয়াছিলেন, এই জন্য অপর অবরোধবাসিনীগণ এই তিনজনকে বিদ্রুপ করিতেন । ইহা শ্রবণ করিয়া গিয়াস-উদ্দীন একটি শ্লোকের প্রথমাংশ রচনা করিয়াছিলেন, কিন্তু বাঙ্গালা দেশে অথবা হিন্দুস্থানে কেহ এই কবিতার দ্বিতীয়াংশ রচনা করিতে পারেন নাই। গিয়াস-উদ্দীন আজম শাহ এই কবিতাটি লিখিয়া পারস্যদেশে সিরাজনগরে প্রসিদ্ধ পারসিক কবি হাফেজের নিকটে প্রেরণ করিয়াছিলেন। হাফেজ তৎক্ষণাৎ দ্বিতীয়াংশ রচনা করিয়া (w^) Epigraphia Indica, Vol. II, p. 294. (v*) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol. 2KLII, 1873, pt. I, p. 304. {v०) ब्रिव्राज-ऽन-नांनाउँौन, रेरब्राणि अद्भवान, श्रृं: ००v ।