পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ఏb বাঙ্গালার ইতিহাস বাদশাহের নামে একটি নবরচিত গজলের সহিত ফিরিয়া পাঠাইয়াছিলেন । কথিত আছে, গিয়াস্-উদ্দীন আজম শাহ হাফেজকে গৌড়দেশে জাহান করিয়াছিলেন, কিন্তু হাফেজ আসিতে স্বীকার করেন নাই । ৭৯১ হিজরায় (১৩৮৮ খৃষ্টাব্দে ) হাফেজের মৃত্যু হইয়াছিল , সুতরাং সিকন্দর শাহের জীবদ্দশাতেই গিয়াস্-উদ্দীন আজম শাহ যখন পূৰ্ব্ববঙ্গে স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়াছিলেন, তখনই বাঙ্গালাদেশ হইতে পারস্যদেশে সিরাজনগরে শমস্উদ্দীন হাফেজের নিকট দৃত প্রেরিত হইয়াছিল। গিয়াস-উদ্দীন আজম্ শাহ পৰ্ম্মভীরু রাজা ছিলেন । গোলাম হোসেন তাহার ধৰ্ম্মনিষ্ঠার পরিচায়ক একটি কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। গিয়াস-উদ্দীন আজম শাহ একদিন মৃগয়াকালে এক বিধবার ( একমাত্র ) পুত্রকে শর দ্বারা দৈবাৎ আহত বা নিহত করিয়াছিলেন । বিধবা, কাজী সিরাজ-উদ্দীনের নিকট বাদৃশহের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়াছিল। কাজী অনেক বিবেচনা করিয়া বাদশাহকে ধরিয়া আনিবার জন্য একজন হরকরা পাঠাইয়াছিলেন । হরকরা বাদশাহের নিকট উপস্থিত হইতে না পারিয়া অসময়ে আজান দিতে আরম্ভ করিল। অসময়ে আজান শুনিয়া বাদশাহ মুয়জ্জিনকে সন্ধান করিতে পাঠাইলেন, মুয়াজন হরকরাকে লইয়া বাদশাহের নিকটে গেল। অসময়ে আজান দিবার কারণ জিজ্ঞাসিত হইলে হরকরা কহিল যে, কাজী সিরাজ-উদ্দীন অপরাধীস্বরূপ বাদশাহকে বিচারালয়ে ধরিয়া লইয়া যাইতে আদেশ করিয়াছেন, কিন্তু বাদশাহের সকাশে উপছিত হইতে না পারায়, তাহার মনোযোগ আকর্ষণ করিবার জন্য অসময়ে আজান দিয়াছিল। বাদশাহ বস্ত্রমধ্যে একটি ক্ষুদ্র তরবারি লুকাইয়া বিচারালয়ে গিয়াছিলেন। তথায় কাজী সিরাজ-উদ্দীন মসনদের নিয়ে একটি চাবুক লুকাইয়া বাদশাহের জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন। বাদশাহ উপস্থিত হইলে কাজী তাহাকে উক্ত বিধবাকে শাস্ত করিতে আদেশ করিলেন ; বিধবা শাস্ত হইলে কাজী সিরাজ উদ্দীন মসনদ হইতে উঠিয়া বাদশাহকে রাজেচিত অভ্যর্থনা করিলেন এবং তঁহাকে মসনদের উপরে বসাইলেন । বাদশাহ মসৃনদে উপবেশন করিয়া কাজীকে কহিলেন, “কাজী, سسسمبس سسلیا (১০) রিয়াজ-উস-সালাতন, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ১০৯। (ex) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series,Vol. XLII, 1873, pt. I. p. 258.